জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“ক্ষমা চাইছি, কাউকে আঘাত করতে চাইনি!” শিয়ালদহ স্টেশনে জনসমক্ষে চেঁচিয়ে, পাওনা টাকা চেয়ে প্রকাশ্যে গরিব মানুষদের ‘হেনস্থা’ করে অসন্তোষের মুখে পড়ে ক্ষমা ভিক্ষা কাঞ্চনা মৈত্রর!

অভিনেতারা প্রায়শই নিজেদের কাজ বৃহত্তর দর্শকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নানা ধরনের সৃজনশীল কৌশল ব্যবহার করেন। সম্প্রতি সেই কৌশলেরই এক উদাহরণ দেখা গেল অভিনেত্রী ‘কাঞ্চনা মৈত্র’র (Kanchana Moitra) মাধ্যমে। সম্প্রতি একটি ভিডিওতে কাঞ্চনাকে শিয়ালদহ স্টেশনের সামনে জনসমক্ষে দুই ব্যক্তিকে টাকা আদায়ের কারণে চেঁচাতে দেখা যায়। যদিও এটি আসলে আসন্ন ছবি ‘কপাল’-এর প্রচারের জন্য একটি নাট্যরূপ কৌশল, তা অনেকের কাছে ভুলভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।

ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাঞ্চনার প্রতি নিন্দা ও সমালোচনা বেড়েছে। অনেকে মনে করেছেন যে অভিনেত্রী গরিবদের উপর অবিচার করছেন বা জনসমক্ষে তাদের ‘হেনস্থা’ করছেন। এই নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার চাপ দেখে অভিনেত্রী নিজেও বিব্রত বোধ করেছেন। তার মতে, কিছু সমাজ মাধ্যম ব্যবহারকারী ভিডিওর সংক্ষিপ্ত অংশ দেখিয়েছেন, ফলে পুরো প্রসঙ্গ বোঝা যায়নি আর মানুষের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছেছে।

কাঞ্চনার বক্তব্যে স্পষ্ট হয়েছে যে তিনি কখনওই কাউকে ছোট করার বা আঘাত করার উদ্দেশ্য রাখেননি। তিনি এদিন বলেন, “ক্ষমা চাইছি আমি, কাউকে আঘাত করার উদ্দেশ্য ছিল না। তবে যাঁরা আমায় বুঝেছেন এবং ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন তাঁদের কাছে আমি আজীবন কৃতজ্ঞ। কিন্তু বলেতেই হচ্ছে যে, কোনও মানুষকে ছোট করার জন্য এটা করিনি আমরা।” এই কথাগুলো থেকেই অভিনেত্রীর অনুশোচনা স্পষ্ট হয়েছে।

সত্যিই প্রচারণার কৌশল এবং দর্শকের বোঝাপড়ার মধ্যে পার্থক্য দেখে এখন তিনি নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্বিধাবোধ করছেন আর ভবিষ্যতে এমন না করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। এই ঘটনা প্রমাণ করে, বিনোদন জগতে প্রচারণার অভিনব পন্থাগুলো কখনও কখনও প্রত্যাশিত ফলাফল দেয় না। কাঞ্চনার ভিডিওটি তীর হয়ে তাঁর দিকেই ধেয়ে এসেছে এবং তাকে সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হয়েছে।

সৃজনশীল প্রচার পদ্ধতির সঙ্গে দর্শকের সংবেদনশীলতা মেলানো সত্যিই এক কঠিন কাজ। শেষে বলা যায়, কাঞ্চনার উদ্দেশ্য ছিল শুধুমাত্র সিনেমার প্রচার করা। তিনি যে পথনাট্য বা জনসমক্ষে নাটকীয় কৌশল অবলম্বন করেছিলেন, তার মূল লক্ষ্য দর্শকের কাছে ছবির গল্প পৌঁছে দেওয়া। তবে তা বুঝিয়ে দেওয়া ছাড়া কিছু মানুষ ভিডিওটি বিভ্রান্তিমূলকভাবে গ্রহণ করেছেন, যা পরবর্তীতে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

Piya Chanda