জীবন যুদ্ধে আমরা কখনো উঠি আবার কখনো ভেঙে পড়ি। বেশিরভাগ পড়ার সময় আমরা নিজেদেরকে বলি এবার উঠে দাঁড়াতেই হবে। কিন্তু সেটা মানসিকভাবে। অনেক সময় শারীরিক অসুস্থতার কারণেও পিছনে পড়ে যেতে হয় আমাদের। সেই সময় যেমন মনের জোর লাগে তেমনি লাগে নিজের শরীরকে জোর করে উঠে দাঁড় করানোর ক্ষমতা। তেমনি এক মানুষ এই অভিনেত্রী। হয়তো বহুবার জীবনে পড়েছেন কিন্তু বারবার উঠে দাঁড়িয়েছেন চরম আত্মবিশ্বাস নিয়ে।
শিরোনাম পড়ে আপাতত অনেকেই বুঝে গেছেন আমরা কোন নায়িকার কথা বলছি। হ্যাঁ, তিনি হলেন সম্প্রতি শেষ হওয়া সিরিয়াল আয় তবে সহচরীর মুখো চরিত্রে অভিনয় করা অর্থাৎ সহচরী চরিত্রে অভিনয় করা কনীনিকা ব্যানার্জি।
View this post on Instagram
বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় চালু হওয়া এই ধারাবাহিক সম্পূর্ণ অন্যরকম একটা গল্প নিয়ে শুরু হয়েছিল কিন্তু শেষটা এতটা খারাপভাবে হল যে সেটা ভক্তরা ভাবতে পারেনি এমনটা হবে। অভিনেত্রীর মেরুদন্ডে অপারেশনের জন্য তাকে দীর্ঘ সময় বিশ্রামে যেতে হয় এবং সেই সময়েই হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায় ধারাবাহিক। গল্পে একজন সাধারন মধ্যবিত্ত পরিবারের বউয়ের উঠে দাঁড়ানোর গল্প যেমন রয়েছে তার পাশাপাশি শাশুড়ি-বৌমার সম্পূর্ণ অন্যরকম একটা সম্পর্ক দেখা গিয়েছে এই ধারাবাহিকে।
View this post on Instagram
তবে না চাইলেও অভিনেত্রীকে দীর্ঘদিনের জন্য ব্রেক নিতে হয়েছিল ধারাবাহিক থেকে। কনীনিকা জানিয়েছেন ওই সময়টায় তিনি যে অসুস্থ এটা ভাববার সময় পাননি কারণ রীতিমতো দৌড়াচ্ছিলেন সংসার সন্তান এবং শুটিং নিয়ে। কিন্তু অপারেশন হওয়ার এক মাস আগে নায়িকা যখন জানতে পারলেন তিনি এই সমস্যায় ভুগছেন তখন তিনি একটা অদ্ভুত পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছেন কারণ এর আগে কখনো নায়িকার জীবনে পিছুটান ছিল না আর এখন তার বেঁচে থাকা এবং তার সমস্ত জীবনে শক্তি তার মেয়ে কিয়ারাকে ঘিরে। ওই সময়টা প্রচন্ড মানসিক উত্তেজনার কারণে মেডিটেশনের সাহায্যও নিতে হয়েছিল কনীনিকাকে।
তবে এই সার্জারির কারণে একটা সময় এমন হয়েছিল যে নায়িকার কথা বলা বন্ধ হয়ে গেছিল। এর কারণ হলো তার ভয়েস বক্সের একটা দিক প্যারাসিস হয়ে যায়। অর্থাৎ সম্পূর্ণ অসাড় হয়ে যায়নি তবে কিছুটা সম্ভাবনা ছিল গলার স্বর ফেরত পাওয়ার। ভয়েস থেরাপি করতে হয়েছিল সেই সময়টাই। ফিজিওথেরাপির পাশাপাশি চলেছিল ভয়েস থেরাপি। আর সেই সময়টায় তিনি সবথেকে বেশি যাকে অনুপ্রেরণা হিসেবে পেয়েছিলেন সে হলো নায়িকার ছোট্ট মেয়ে।