জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

Mir: “সকাল ৬:৫৫ মিনিটে শ্যামা সংগীত এবং ৭টার সময় ‘চার বোতল ভদকা সত্যি”খুব কানে লাগতো,বোঝাতে পারিনি বাঙালি ওই ভাবে দিন শুরু করে না”! রেডিও ছাড়ার পিছনে আসল কারণ জানালেন খোদ মীর

বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে মীর নামটা শুনলেই মানুষের মনে ভেসে ওঠে প্রথমেই ‘রেডিও’, ‘সানডে সাসপেন্স’, ‘মিরাক্কেল’ আরো অনেক কিছু। কিন্তু গত বছর সেই রেডিওকেই বিদায় জানিয়েছেন । মীর আফসার আলী এই নামটা গোটা কয়েক দশক ধরে রেডিওর পিছনে নিজের গলা দিয়ে একের পর এক অগুন্তি ভক্ত বানিয়েছেন। কিন্তু যখন তার সেই ভক্তরাই হঠাৎ জানতে পারলো যে আর শোনা যাবে না রেডিওতে মীরের গলা, তখন স্বভাবতই তারা কষ্ট পেয়েছিলেন। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা রকম কথা শোনা গিয়েছিল কিন্তু মীর সেভাবে প্রকাশ্যে কিছুই বলেনি।

কেউ বলেছিলেন রেডিওর সেই সংশ্লিষ্ট চ্যানেলের সঙ্গে হয়তো মীরের কোন মনোমালিন্য ঘটেছে অথবা মীর হয়তো আর আধুনিক রেডিওর অনুষ্ঠানগুলোকে মেনে নিতে পারছিলেন না সেজন্যই সরে আসা। এমন বহু কথা উঠেছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে এবার এক জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম এই সময়ের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বসে ছিলেন মীর, সেখানেই সেই সব প্রশ্নের উত্তর তিনি জানিয়েছেন।

এদিন মীরকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে রেডিও ছাড়ার সিদ্ধান্ত তিনি কবে নিয়েছিলেন? মিরের স্পষ্ট উত্তর ছিল,”২৫ বছর কমপ্লিট করার পর থেকেই ভাবনাচিন্তা শুরু করি। একই জিনিস করতে করতে হাঁফিয়ে উঠেছিলাম। সেখান থেকেই নতুন কিছু ট্রাই করার সিদ্ধান্ত। ২০১৭ থেকে আমরা ‘Foodka’ সেই তাগিদেই শুরু করেছিলাম। কিন্তু সবসময় একদম নিজস্ব কিছু করতে চেয়েছি। ভেবেছিলাম ৩০ বছরে গিয়ে ইতি টানব। কিন্তু, সেটা আর হল না। ২৮-এই স্বেচ্ছায় আউট হলাম।”

সেই সঙ্গে তার কাছে প্রশ্ন ছিল আসলে তিনি কেন রেডিও ছেড়েছেন? সেখানেও মীরের উত্তর কিছুটা ঘোরালো,”৯৪ সালে রেডিওতে আসি। নয়া মিলেনিয়ামের গোড়ার দিকে বেসরকারি এফএম এল। তখন কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া ছিল না। আজকে কিন্তু রেডিওর চাকুরেরা শুধু রেডিওতে নয়, আনুষঙ্গিক একাধিক কাজ করছে। শোয়ের পাশাপাশি ইনস্টাতে পাঁচটা স্টোরি, চারটে রিল তৈরি করতে হচ্ছে। পাশাপাশি আছে ফেসবুক লাইভ। ফলে কাজটা এখন কয়েকশো গুণ চ্যালেঞ্জিং হয়ে গিয়েছে। অনেকে ফাটিয়ে কাজ করছেন। এই যেমন ধরুন RJ Praveen। হি ইজ সো গুড অন রেডিও অ্যান্ড ইক্যুয়ালি গুড অন সোশ্যাল মিডিয়া। আমিও চেষ্টা করেছি সোশ্যাল মিডিয়ায় কনটেন্ট দিতে, ওই লেভেলে পারিনি। রেডিও ভয়েস হিসেবে পরিচিতিটাকে বোধ হয় এখনও বেশি গুরুত্ব দিই। ‘খাস খবর’, ‘মীরাক্কেল’ যাই বলুন, মীরের ভিত কিন্তু রেডিও। তা নিবেদিত প্রাণই ছিলাম। কিন্তু, আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো রেডিওর সঙ্গে আমার সম্পর্কটা ঘেঁটে দিল। বুঝতে পারছিলাম এতকিছু সামলে উঠতে পারব না। স্টার্টেড গেটিং টায়ার্ড। সেখান থেকেই বিরতি নেওয়ার ভাবনা ও সিদ্ধান্ত”

সেই সঙ্গে ‘সকাল ৬:৫৫ মিনিটে শ্যামা সংগীত এবং ৭টার সময় ‘চার বোতল ভদকা…’!এফএমের এই অন্যরকম প্লেলিস্ট ঠিক তার এই চাকরি ছাড়ার পেছনে কতটা কাজ করছে সেটা জানতে চাইলে মীরের স্পষ্ট উত্তর ছিল।”খুব কানে লাগতো, খুব…। বোঝাতে পারিনি বাঙালি ওই ভাবে দিন শুরু করে না। অরেঞ্জ প্যান্টের সঙ্গে হলুদ জামা খাপ খায় না। কালার চেঞ্জ ডিমান্ড করে। সত্যি বলতে এই গোবিন্দা ছাপ রেডিও আমার পোষাচ্ছিল না। এই রেডিওকে আমি চিনতেই পারছিলাম না। তবে মানুষের শোনার অভ্যেসটাই তো বদলে গিয়েছে। কারও কিছু করার নেই।”

Nira