বাংলা চলচ্চিত্র জগতে মুনমুন সেনের (Moonmooon Sen) অবদান এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়। সুচিত্রা সেনের (Suchitra Sen) কন্যা হিসেবে জন্ম নেওয়া মুনমুন, নিজের অভিনয় দিয়ে দর্শকদের মন জয় করেছিলেন। একে একে তিনি সফলতার সিঁড়ি চড়েছেন, অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিতেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। কিন্তু, এবার তার জীবনে নেমে এসেছে এক অন্ধকার অধ্যায়। সম্প্রতি মুনমুন হারিয়েছেন তার সবচেয়ে প্রিয় মানুষটিকে, যার শূন্যতা অনুভব করবেন তিনি সারাজীবন।
মুনমুন সেনের জীবনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ নাম—সুচিত্রা সেন এবং ভরত দেববর্মা। সুচিত্রা সেন, বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি, ছিলেন মুনমুনের মমতাময়ী মা। ১৯৭৮ সালে, মুনমুনের বিয়ে দিয়েছিলেন সুচিত্রা নিজেই। ভরত দেববর্মা, মুনমুনের স্বামী, ছিলেন একজন জ্ঞানী ও সদা হাস্যোজ্জ্বল পুরুষ, যিনি মুনমুনকে অভিনয়ে আসার জন্য উৎসাহিত করেছিলেন।
তবে, যখন মুনমুন অভিনয়ে পা রেখেছিলেন, তখন এটি সুচিত্রা সেনের কাছে ছিল এক অপ্রত্যাশিত পদক্ষেপ। মায়ের চোখে এই সিদ্ধান্ত ছিল অনেকটাই অপ্রিয়। মুনমুনের অভিনয়ে আগ্রহ মেনে নেননি সুচিত্রা, এবং শোনা যায় যে এক বছর ধরে মুনমুন ও তার স্বামী ভরত দেববর্মার সঙ্গে কথা বন্ধ রেখেছিলেন তিনি। মেয়ের অভিনয় জীবনকে ঘিরে যে অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল, তা আরও গভীর হয়েছিল সেই সময়ে।
এমন এক মুহূর্তে, যখন মুনমুনের জীবনে এতগুলো অশান্তি ছিল, সুচিত্রার আচরণ তাকে অনেকটা শোকগ্রস্ত করে তুলেছিল। তার মায়ের সঙ্গে সম্পর্কের এই দূরত্ব মুনমুনের জন্য ছিল এক দুঃসাহসিক পরীক্ষা। কিন্তু, সময়ের সাথে সাথে, তাদের সম্পর্কের খোলস কিছুটা আলগা হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি, মুনমুন আবার এক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন—এবার তিনি হারিয়েছেন নিজের প্রিয় মানুষটিকে।
আরও পড়ুন: সৃজনের জীবন সংকটে, পর্ণা ও কৃষ্ণার প্রার্থনা কি বদলে দেবে পরিস্থিতি?
এটি সত্যিই মুনমুন সেনের জন্য এক বিরাট ক্ষতি। তার জীবনের এই শূন্যতা কখনো পূর্ণ হবে না, কিন্তু আশা করা যায়, তিনি তার প্রিয়জনের স্মৃতির সাথে শক্তি খুঁজে পাবেন। প্রতিটি ক্ষণ, প্রতিটি পদক্ষেপে তিনি তাদের কাছে এক ধরনের শক্তি অনুভব করবেন, যারা তার জীবনে এক অমূল্য রত্নের মতো।