দিব্যি পড়াশোনা করছিলেন ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে। কিন্তু তারপরই হল বাবার শরীর খারাপ। সঙ্গে সঙ্গে সব কিছু ছেড়ে ডালহৌসিতে ফুটপাতে ভাতের দোকান দিয়ে দিলেন মমতা। হ্যাঁ, মমতা গঙ্গোপাধ্যায় উরফে নন্দিনী। তারপর হঠাৎই হয়ে ওঠেন ইউটিউব সেনসেশন।
তারপর থেকেই নিজের বেমক্কা কথাবার্তার জন্য মাঝেমধ্যেই ট্রেন্ডিং – এ থাকেন নন্দিনী। যথারীতি ‘ রানু মণ্ডল ২ ‘ খেতাব জিতে নিয়েছেন তিনি। কারণ ঠিক রানু মণ্ডলের মতো করেই একবার বলে উঠেছিলেন, মানুষে কিছু করেনি, ভগবান তাঁর পাশে আছেন তাই যা হওয়ার হচ্ছে।
এই ভাইরাল হওয়ার চক্করে তাঁর দোকানে ইউটিউবারদের আনাগোনা লেগেই থাকে। সম্প্রতি একজন ইউটিউবার তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, যদি তাঁর জীবনীর ওপর সিনেমা হয় তাহলে কে অভিনয় করবেন? মিমি চক্রবর্তী না নুসরত!
প্রসঙ্গত দুজনেই বাংলা ইন্ডাস্ট্রির বেশ নাম করা অভিনেত্রীর পাশাপাশি বিধায়কও বটে। কারণে অকারণে দুই নেত্রী অভিনেত্রীও বেশ চর্চায় থাকেন। নুসরতকে তো একদম প্রথমেই না করে দিয়েছেন। কিন্তু মিমি চক্রবর্তীকে কিছুতেই চিনতে পারছিলেন না। ‘বোঝে না সে বোঝে না’ সিনেমার প্রসঙ্গ তুললেও মিমি চক্রবর্তীকে চিনতে পারলেন না নন্দিনী।
তবে জিজ্ঞাসা করা হয় যে নিজেই কি অভিনয় করবেন? তাতেও অবশ্য না বলে দিয়েছেন। বেশ কিছু প্রমোশন করতে গিয়ে তিনি বুঝেছেন, ক্যামেরার সামনে কথা বলতে গিয়ে তাঁর অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। দিদি নং ১ – এর সেটেও নাকি তাঁর অবস্থা টাইট ছিল। তবে নেটিজেনদের আর নন্দিনীর প্রতি ভালোবাসা বা স্নেহ তো আসছেই না, বরং তাঁদের মনে হচ্ছে বিনা কারণ নন্দিনীর ভীষণ অহংকার বেড়ে গিয়েছে।