জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“আমায় যেদিন বলবে আমি সেদিনই রাজি, কোনও পিছুটান নেই।” “আজকের যুগের মেয়ে হয়ে আমার দ্বিতীয় সম্পর্ক নেই, অঙ্কুশ কতজনকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে…”— ঐন্দ্রিলার কথায় জোরালো ইঙ্গিত! বক্তব্যে স্পষ্ট অঙ্কুশের দ্বিধা, তাই কি বারবার আটকে যাচ্ছে বিয়ে? সম্পর্কে এসেছে কোনও তৃতীয় ব্যক্তি?

টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি ‘ঐন্দ্রিলা সেন’ (Oindrila Sen) এবং ‘অঙ্কুশ হাজরা’ (Ankush Hazra)। তাদের অনস্ক্রিন প্রেমিক-প্রেমিকার রসায়ন দর্শকদের মনে গভীর ছাপ ফেলে আসছে বহু বছর ধরে। ‘মির্জা’ থেকে ‘লাভ ম্যারেজ’ এবং সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত ‘চন্দ্রবিন্দু’, এই সব ছবিতে তাদের জুটি মুগ্ধ করেছে ভক্তদের। বাস্তবেও তাদের সম্পর্কটা অনেক গাঢ়, দীর্ঘ ১৪ বছরের প্রেমকাহিনী এখনও বিয়ে পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি। এই বিষয়টাই নিয়েই সর্বত্র আলোচনা, কেন এতদিন পরেও তারা ঠিকঠাক বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি?

অনেকে তো গুঞ্জন ছড়িয়েছিল নতুন বছরের প্রথমার্ধেই তাদের বাগদান বা বিয়ে হতে চলেছে, এমনকি ঐন্দ্রিলার শেয়ার করা একটি ভিডিও থেকে শুরু হয়েছিল জল্পনা। কিন্তু পরে জানা যায়, সেই ভিডিও আসলে একটি প্রোমোশনাল কাজ ছিল। এরপরও প্রশ্ন রয়ে গেছে, বিয়ের ব্যাপারে কেন এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি? অনেকের মনে সন্দেহ, হয়তো দুজনের মধ্যে কিছু ব্যক্তিগত কারণে বিয়ে বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে, অথবা এই রহস্যের পিছনে কি কোনও পারস্পরিক দ্বন্দ্ব বা অনিশ্চয়তা কাজ করছে?

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ঐন্দ্রিলা নিজেই কথা বলেছেন এই বিষয় নিয়ে। তিনি বলেছিলেন, “অঙ্কুশ কাকে কাকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছে সেটাও একটা ভাবার বিষয়। আমার যেমন কোনও পিছুটান নেই, আমার কোনও চাপ নেই। আমায় যেদিন বিয়ে করতে বলবে আমি সেদিনই রাজি আছি। আজকের যুগের মেয়ে হয়ে বলছি, যেখানে আমার চার থেকে পাঁচটা বয়ফ্রেন্ড থাকা উচিত ছিল, সেখানে আমি রেডি কিন্তু পাশের দাঁড়িয়ে মাথা নিচু করে আছে অঙ্কুশ!” এই কথাগুলো থেকেই স্পষ্ট, ঐন্দ্রিলার পক্ষ থেকে বিয়ের কোনও বাধা নেই।

তিনি অপেক্ষায় আছেন অঙ্কুশের ইচ্ছার। অন্যদিকে অঙ্কুশের কথাও বেশ চিন্তার উদ্রেক করেছে। তিনি বলছেন, “বিয়ে তো করবোই, সঠিক পাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছি। পেলেই বিয়ে করে নেব!” এটা কি ইঙ্গিত যে তিনি নিজে এখনও সম্পূর্ণ নিশ্চিত নন? কিংবা তাদের সম্পর্কের মধ্যে এমন কিছু জটিলতা আছে যা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে বাধা সৃষ্টি করছে? অনেক অনুরাগী তো মনে করেন, হয়তো ঐন্দ্রিলা অঙ্কুশের মধ্যে এমন কিছু আচরণ লক্ষ করেছেন, যেগুলো বিয়ের সিদ্ধান্তকে বারবার বিলম্বিত করেছে।

অথচ তাদের ভক্তরা অধীর আগ্রহে দেখতে চায় এই সম্পর্কটিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে যেতে। তবে, এই দীর্ঘ প্রেমের গল্পে কীভাবে দুজনের ভিন্ন ভিন্ন মানসিকতা ও প্রত্যাশা বিয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেটাই এখনও রহস্য। দুইজন একসঙ্গে থাকলেও, পারস্পরিক যোগাযোগ এবং বিশ্বাসের মাঝে হয়তো এমন কিছু সংকেত আছে যা পরিপূর্ণতা পায়নি। দর্শক এবং অনুরাগীরা অবশ্যই আশা রাখেন যে, শিগগিরই তারা তাদের সম্পর্কের পরবর্তী অধ্যায়, ছাদনাতলা-তে পৌঁছাবেন। যদিও সেটার উত্তর সময়েরই হাতে।

Piya Chanda