চলে গিয়েছেন অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অকাল প্রয়াণ মন থেকে মেনে নিতে পারছেন না অনেক তারকারাই।কেউ কেউ মনে করছেন নায়ক শরীর নিয়ে একেবারেই সচেতন ছিলেন না অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায় ওরফে তাঁদের প্রিয় মিঠুদা। কিছুটা অভিমানের সুরেই তাঁরা জানিয়েছেন যে বারবার এই নিয়ে সতর্ক করেছেন তাঁদের নায়ককে। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত কাজ করে গিয়েছেন অভিষেক। দুটি জনপ্রিয় ধারাবাহিকে কাজ করছিলেন তিনি। কিন্তু সেই প্রানবন্ত মানুষটি যে এভাবে হারিয়ে যাবেন সেটা কেউই মানতে পারেননি।
অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জীর কাছের মানুষ ছিলেন অভিষেক। একসঙ্গে পর্দায় কাজ করার পাশাপাশি বহু অনুষ্ঠানে একসঙ্গে গিয়েছেন। শেষবারের মতো দেখতে এসে জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন রচনা।
থামানো যাচ্ছিল না নায়িকাকে। মিঠুদাকে এভাবে দেখতে হবে এমনটা ভাবতে পারছেন না রচনা। সাদা কালো পোশাক এবং চোখে সানগ্লাস পরে গাড়ি থেকে বেরিয়েই দৌড়ে অভিষেক চট্টোপাধ্যায়কে দেখতে যান রচনা ব্যানার্জি। এমনটা কী করে হতে পারে? কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না, কাঁদতে কাঁদতে বললেন রচনা। ইমরান এবং জয়জিৎ অনেক সামলানোর চেষ্টা করেছেন নায়িকাকে তবে সফল হননি।
প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই রচনা ব্যানার্জি হারিয়েছেন নিজের বাবাকে। তারপর আবার এক কাছের মানুষের চলে যাওয়া ঠিক মেনে নিতে পারলেন না রচনা। আসলে অভিষেক চট্টোপাধ্যায় এর অকালপ্রয়াণ কোন সহকর্মী মেনে নিতে পারছেন না। বিশেষ করে যারা তাঁকে শেষ দিন অবধি শুটিংয়ে দেখেছে তাদের কাছে ব্যাপারটা এখনও গ্রহণযোগ্য নয়।