জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

Rachana Banerjee: বাবা থাকার আশীর্বাদ কত বড় যাদের আছে তারাই জানে! বাবাকে মনে করে হঠাৎ হাউহাউ করে কেঁদে ফেললেন পিতৃহীন রচনা! আবেগে ভাসলো বাংলা

আমাদের প্রত্যেকের জীবনে বাবা-মায়ের গুরুত্ব যে কতখানি তা আমরা কখনোই বলে বোঝাতে পারবো না। তবে বহুবার সিনেমাতে মা এবং সন্তানের কাহিনী ফুটিয়ে তুলতে দেখা গেছে। কিন্তু এসবের মাঝে কোথাও যেন আড়ালে থেকে গেছে বাবার ভালোবাসা, আত্মত্যাগ। কিন্তু তাই বলে তো সেটাকে অগ্রাহ্য করা কখনোই সম্ভব নয়। ঠিক যেমন মা হওয়া সোজা নয় তেমনি বাবা হওয়াও সোজা নয়। আর এবার সেই বাবা এবং ছেলের এমনই এক দুর্দান্ত কাহিনী নিয়ে এসেছেন পরিচালক অভিজিৎ সেন। যা খুব শীঘ্রই পর্দায় দেখতে পেতে চলেছে দর্শক, দেবের আসন্ন ছবি ‘প্রজাপতি’র মাধ্যমে।

সিঙ্গেল ফাদার এবং ছেলের কাহিনী ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই ছবিতে। এতে দেব ছাড়া রয়েছেন মিঠুন চক্রবর্তী এবং শ্বেতা ভট্টাচার্য। ছবির ট্রেলার এবং গান মুক্তি পাওয়ার পরেই দর্শকরা বেশ পছন্দ করেছে। আজই মুক্তি পেয়েছে এই ছবি। কিছুদিন আগে এই ছবির টিমকে দিদি নাম্বার ওয়ানে আসতে দেখা গিয়েছিল এই ছবির প্রচারে। রচনার সঙ্গে দেবের খুনসুটি নিয়ে ইতিমধ্যে চর্চা শুরু হয়ে গেছে সোশ্যাল মাধ্যমে।

আর যেহেতু এই গল্প বাবা এবং ছেলের তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই উঠে এসেছিল রচনা ব্যানার্জীর বাবার কথা। অভিনেত্রীর জীবনে বাবার যে কি অবদান রয়েছে তা তিনি এদিন প্রকাশ্যে বলেন। আর সেই কথা বলতে গিয়ে রীতিমত কেঁদে ফেলেন অভিনেত্রী।

প্রসঙ্গত গত বছর নিজের বাবাকে হারিয়েছেন রচনা। তিনি এখনো ঠিক করে সেই শোক কাটিয়ে উঠতে পারেনি। তা ফের একবার বোঝা গেল সঞ্চালিকার কথায়। সম্প্রতি নেট মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে বাবার কথা মনে করে অঝোরে কেঁদে ফেলেছেন অভিনেত্রী।

রচনা এ দিন বলেন বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে বলে ছোট থেকেই ভীষণ আদরে বড় হয়েছেন তিনি। তবে তার মা রাগী ছিলেন, ছোটবেলায় মারধরও খেয়েছেন। তবে বাবার কাছে তিনি ছিলেন খুব আদরের। মার খাওয়া তো অনেক দূরের কথা কখনো জোরে বকেন নি পর্যন্ত । বরং নিজের মেয়েকে জীবনের প্রতিটা পদে পদে সমর্থন করে গেছেন রবীন্দ্রনাথ বাবু। অভিনেত্রী এ দিন বলেন নিজের জীবনে যতটা সাফল্য এবং ভালোবাসা পেয়েছেন তা তার বাবারই আশীর্বাদ।

বাবার বিষয়ে কথা বলতে বলতে চোখ ছল ছল করে ওঠে অভিনেত্রীর। সে সঙ্গে অভিনেত্রী আরো বলেন বাবার হাত ধরে পথ চলা বাবাকে পাশে পাওয়া যে কত বড় আশীর্বাদ সেটা যাদের রয়েছে তারাই জানে। জীবনে বাবা থাকা সত্যিই খুব ভাগ্যের ব্যাপার। আর যাদের জীবন থেকে বাবা চলে গিয়েছেন তারা বুঝবেন এই চোখের জল কেন পড়ছে।

প্রসঙ্গত গত বছর ১৫ ই নভেম্বর নিজের বাবাকে হারিয়েছিলেন অভিনেত্রী। বাবাকে হারিয়ে তিনি এতটাই ভেঙে পড়েছিলেন যে বেশ কিছুদিন নিজেকে আড়ালে রেখেছিলেন। কিন্তু তারপর মনে করেন তার বাবা চিরকাল তাকে শিখিয়েছেন হাসিমুখে নিজের কাজ করে যেতে। তাই সেই কথা মনে করে আবার দিদি নাম্বার ওয়ান নিয়ে ফিরেছিলেন অভিনেত্রী।

Nira