অভিনয় জগতে অনেকেই আসেন, আবার হারিয়েও যান। কিন্তু কিছু মানুষ থাকেন যাঁরা শুধুমাত্র অভিনেতা হিসেবে নয়, একজন ‘মানুষ’ হিসেবেও সকলের মনে ছাপ ফেলে দেন। শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় তাঁদেরই একজন। পর্দার বাইরেও তাঁর ব্যক্তিত্ব ঠিক যেমন, তেমনি খোলামেলা ও সোজাসাপ্টা। তাঁর বলা প্রতিটি কথা যেন কোনও চিত্রনাট্যের চেয়েও বেশি বাস্তব। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি তুলে ধরলেন বলিউড ও টলিউডের প্রথম সারির কিছু অভিনেতা-অভিনেত্রীর ব্যক্তিত্বের অজানা দিক।
তারকারা যতই ব্যস্ত থাকুন না কেন, সহঅভিনেতার চোখে তাঁদের আচরণ, ব্যবহার, বা শুটিংয়ের সময়ের অভ্যাস অনেক সময়েই মুখ ফুটে প্রকাশ পায় না। কিন্তু শাশ্বতের মতো একজন অভিজ্ঞ অভিনেতা যখন মুখ খোলেন, তখন তা নিঃসন্দেহে নজর কাড়ে। অভিনেতার চোখে অন্য তারকাদের সেই ব্যক্তিত্ব উঠে এল একদম অন্য আলোয়।
রাণবীর কাপুরকে নিয়ে শাশ্বতের অভিমত খুব স্পষ্ট—“ভীষণ মিষ্টি আর এককথায় জিনিয়াস।” দীপিকা পাডুকোন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “দীপিকা শুটিংয়ের সময় একেবারেই বিরক্ত হন না, ভীষণ ডেডিকেটেড একজন অভিনেত্রী।” কিন্তু সুশান্ত সিং রাজপুত প্রসঙ্গে এসে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন শাশ্বত। প্রথমেই বলেন বলেন, “আবার ওর কথা কেন মনে করালে, ওকে খুব বকতো স্বস্তিকা। হাসিটা ছিল অসাধারণ। ও পাগল ছিল, কিন্তু খুবই সুইট।” শুটিং চলাকালীন সুশান্ত বই পড়তেন, আর স্বস্তিকার বকুনিতে আবার স্ক্রিপ্টে ফিরে আসতেন—এই সহজ সম্পর্কটাই প্রমাণ করে তারকাদের ভিতরেও থাকে সহজ-সরল মানুষটা।
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের চোখে জিৎ একজন ভীষণ ডেডিকেটেড অভিনেতা, নিজের শরীর থেকে মন—সব কিছু সুন্দরভাবে মেন্টেন করেন। প্রসেনজিৎ প্রসঙ্গে এসে খানিক মজা করে বলেন, “প্রসেনজিৎদা একটু প্রাচীনপন্থী মানুষ হলেও, উনি নিজেই একটা ইন্ডাস্ট্রি।” এই মন্তব্যেই ফুটে ওঠে শ্রদ্ধা ও বাস্তবতা। কিন্তু যাঁকে নিয়ে সবথেকে মজার কথা বললেন, তিনি হলেন দেব।
আরও পড়ুনঃ একদিকে মেয়েকে নিয়ে রাই, বান্ধবীকে বুকে নিয়ে অনির্বাণ! এবার ‘সিঙ্গেল মাদার’ মোডে রাই! অনির্বাণের চরিত্রে ফুটো, তবু রাইয়ের ভালোবাসায় জোড়াতালি দিয়ে চলছে সংসার! দর্শকদের মতে, ‘মধ্যবয়সী বাঙালি পুরুষের চিরাচরিত দুর্বলতার প্রতীক অনির্বাণ!’
দেব সম্পর্কে শাশ্বতের মন্তব্য একদিকে যেমন মজার, তেমনি প্রশংসায় ভরপুর। “ফ্লোরে সবসময় দুষ্টুমি করে বেড়ায়,” পরক্ষণেই বলেন, “দেবের সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট, ও খুব তাড়াতাড়ি নিজের ইমেজ থেকে বেরিয়ে আসতে পারে। লাভার বয় ইমেজ ছেড়ে এখন ও নানা রকম সিনেমা করছে—এই বৈচিত্র্য সবার মধ্যে থাকে না।” অর্থাৎ নিজের ঘরানা ভেঙে নতুন কিছু করার সাহস দেখানোই দেবকে আলাদা করে দিয়েছে বলেই মনে করেন শাশ্বত। অভিনেতা হিসেবে নয়, বরং মানুষ হিসেবে তারকাদের যে আলাদা দিক থাকে—তাই-ই তুলে ধরলেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।