বাঙালির তো বারো মাসে তেরো পার্বণ আর তার মধ্যে অন্যতম পার্বণ দীপাবলি। দীপাবলি বা কালীপুজো মানেই সমস্ত ধর্মের মানুষের কাছেই আলোর রঙিন উৎসব। প্রতিটা পাড়া থেকে শুরু করে অলিগলি সর্বত্র রঙিন আলোয় মুখরিত হয়ে ওঠে চারিদিক এবং সেই সঙ্গে মানুষের মন।
কিন্তু এর ভুক্তভোগী কারা হয় জানেন? এই দলে রয়েছে বাড়ির প্রবীণ সদস্যরা এবং রাস্তাঘাটের অবলা প্রাণীরা। প্রবীণ সদস্যরা তাও মুখে কথা বলে কষ্ট বা যন্ত্রণা প্রকাশ করতে পারবেন কিন্তু অবলা প্রাণীরা কী করে বোঝাবে তাদের ভয় বা যন্ত্রণার কথা? ভেবে দেখেছেন? কালীপূজো আসলেই তাই তাদের মনে ভয় সঞ্চারিত হতে থাকে। এই দিনটা বাকিদের কাছে আনন্দের বা উৎসবের হলেও একমাত্র অবলাপ প্রাণীদের কাছেই সবথেকে যন্ত্রণা বা বিভীষিকার সমান।
যদিও শব্দবাজি সম্পর্কে প্রতিবার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় তবুও শব্দবাজির দৌরাত্ম্য কমছে না। প্রাণ ওষ্ঠাগত হবার জোগাড় রাস্তার প্রাণীদের। রাস্তার কুকুর বিড়ালের পাশে বাজি ফাটিয়ে অনেকেই পাশবিক আনন্দ পায় মনে মনে। আবার কেউ কেউ কুকুরের বা বিড়ালের লেজে কালী পটকা বেঁধে দেয় কেউ কেউ আবার তাদের কানের সামনে গিয়ে বাজে ফাটায়। মানুষের মতো তারা মুখ ফুটে প্রতিবাদ করতে পারে না। কিন্তু এই অত্যাচারে মৃত্যু পর্যন্ত হয় তাদের।
এবার এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরাব হলেন পশুপ্রেমী এবং জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। নায়িকা বরাবর পশুদের প্রতি নিজের ভালোবাসার কথা জাহির করে এসেছেন নানাভাবে এবং নিজের নানা কীর্তির মাধ্যমে। এমনকি তাদের হয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছেন অভিনেত্রী। এবার সমস্ত বীরপুরুষদের উদ্দেশ্য করে লিখে দিলেন যদি রাস্তার পশুদের উপর অত্যাচার করে উল্লাস করার খবর পান তিনি তাহলে তাদের খবর আছে।
নায়িকা সোজাসুজি সাবধান করে লিখে দিয়েছেন “এখন থেকেই শব্দ বাজির আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। বয়স্ক মানুষদের এবং কুকুর বিড়ালদের কথা ভেবে একটু না হয় উৎসবের রাজ্যে একটু কম উৎসব হোক। মানুষের তুলনায় ওরা অনেক বেশি শোনে। সবাই বেঁচেবর্তে থাকুক। গতবারের মতো এবার যদি শোনা যায় কুকুরের লেজে বাজি ফাটানো হয়েছে তো ভাই যে করবে তার খবর আছে। সাবধান করলাম।”
প্রসঙ্গত নায়িকার বাড়িতে অসংখ্য পোষ্য প্রাণী রয়েছে। তাদেরকে নিজের সন্তান ছাড়া কিছু মনে করেন না তিনি। পথপশুদের প্রতিও একইরকম ভালবাসা তার। তাই তাদের উপর কোন রকম অত্যাচার হলে নিজের সাধ্যমত প্রতিবাদ করার চেষ্টা করেন শ্রীলেখা বরাবর।