ষাটের দশকের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেন মিঠু মুখার্জি। যাকে শুধু বাংলা চলচ্চিত্রেই নয় পাশাপাশি হিন্দি চলচ্চিত্রতেও নিজের অভিনয় পারদর্শিতার সাথে এগিয়ে যেতে দেখা গেছিল। কিন্তু একটা সময় পরে অভিনেত্রী নিজেই সরে যান তার অভিনয় জীবন থেকে। এই অভিনেত্রী একাধারে উত্তম কুমার ,সৌমিত্র চ্যাটার্জী, রঞ্জিত মল্লিক এমন কি বলিউডের শত্রুঘ্ন সিনহা এবং রাজ কাপুরের সাথেও অভিনয় করেছিলেন।
১৯৭১ সালে চিত্ত বোসের ছবি “শেষ পর্ব” থেকে তার অভিনয় জীবন শুরু। তবে এই ছবিতে তিনিই সেরকম জনপ্রিয়তা লাভ করতে পারেননি। তারপরেই ১৯৭৩ সালে দিনেন গুপ্তর “মর্জিনা আব্দুল্লাহ” ছবিতে মর্জিনার ভূমিকায় তার অনবদ্য অভিনয় বাংলার দর্শকের মন ছুঁয়ে যায়।তারপর থেকে “মৌচাক” “স্বয়ংসিদ্ধার” মত জনপ্রিয় ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গেছে মিঠু মুখার্জিকে।
মৌচাক এবং স্বয়ংসিদ্ধায় রঞ্জিত মল্লিকের সাথে তার জুটি দর্শক খুবই পছন্দ করেছিল। কিন্তু তারপরেই মিঠুর বলিউড থেকে একাধিক ছবির প্রস্তাব আসায় সে বাংলা চলচ্চিত্র ছেড়ে বলিউডে পাড়ি দেয়। বলিউডে ১৯৭৬ সালে “খান দোস্ত” ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় দেখা যায় তাকে। কিন্তু সেই ছবি সেভাবে সফল হয়নি। তারপর থেকে তিনি বেশ কিছু হিন্দি ছবি করেছেন কিন্তু পার্শ্ব চরিত্রে। তিনি হিন্দি ছবি “সফেদ ঝুট”, “দিললাগি”র মত ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। তারপরে তিনি আবার বাংলা চলচ্চিত্র ফিরে এসে বেশ কয়েকটি ছবি করেছিলেন তার মধ্যে সবচেয়ে প্রশংসনীয় ছবি ছিল “আশ্রিতা”।
“আশ্রিতা” ছবির পর তাকে আর কখনোই রুপোলি পর্দায় দেখতে পাওয়া যায়নি। তবে মিঠু এমনই একজন অভিনেত্রী ছিলেন যার প্রশংসা টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক থেকে বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা সবাই করেছিলেন।
মাত্র ৩৫ বছর বয়সেই তিনি অভিনয় জগত ত্যাগ করেন। তার ভক্তরা তাকে অনেকবারই টিভির পর্দায় দেখতে চাইলেও তিনি আর এ জীবনে ফিরে আসেনি। বর্তমানে তিনি মুম্বাইয়ের বাসিন্দা। “আশ্রিতা” ছবির পরিচালক চন্দ্র ব্যারোটকে এ বিয়ে করেন মিঠু। তার সাথেই এখন সুখে সংসার করছেন মুম্বাইতে এই অভিনেত্রী।