একসময় টলি পাড়ায় তাঁর দাপট ছিল। তাঁর চলন – কথনের মধ্যেই ছিল ‘ ঠাঁট ‘। যাকে বলে এক কথায়, ‘ দ্য ডমিনেটিং লেডি ‘। একদম নিজের দেমাগ নিয়ে সবাইকে চোখ রাঙানো।
কিন্তু এত ছিল তাঁর চরিত্রের বৈশিষ্ট্য। বাস্তব জীবনে হয়তো এরকম নন। আশা করি এত বিবরণ থেকে বুঝেই গিয়েছেন তিনি আর কেউ নন আমাদের টলি পাড়ার অন্যতম দাপুটে খল নায়িকা অনামিকা সাহা।
বরং তাঁর অভিনয়ের প্রতি নিজের কাজের প্রতি একটুও দেমাগ ছিল না। নাহলে দিনের পর দিন বড় পর্দা থেকে টেলিভিশন এক টানা খল নায়িকার চরিত্রে কেউ এতটা তাবড় অভিনয় করতে পারেন না।
আর অভুনয়ের প্রতি তাঁর পেশা ও নেশার প্রমাণ নিজেই দিলেন একটি অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিয়ে। দিদি নং ১ মঞ্চে জানান, ‘ নাচ নাগিনী নাচ’ ছবির শুটিংয়ের সময় তাঁকে পাঁচটি জ্যান্ত সাপের মাঝে নাচতে হয়েছিল।
সেই সাপগুলো ফণা তুলেই ছিল। পাঁচটির মধ্যে একটি বিষধর সাপ ছোবলও মারে। কিন্তু পা ঢাকা থাকায় একটুর জন্য বেঁচে যান। কিন্তু সাপের বিষে খারাপ হয়ে যায় শাড়িটি। সেই শাড়ি যদিও যত্ন করে তুলে রেখেছেন। অভিনয়ের প্রতি এতটা ভালোবাসা না থাকলে চার দশক ধরে এই ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা কি এতই সোজা!