বাংলা চলচ্চিত্র জগতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। যাকে এইবার প্রথম দেখা যাবে টেলিভিশনে মা দুর্গার মহিষাসুরমর্দিনী অবতার। ২৫ শে সেপ্টেম্বর মহালয়ার দিন সকালে কালার্স বাংলায় “দেবী দশমহাবিদ্যা” অনুষ্ঠানে দেবী দুর্গার রূপে টিভির পর্দায় ঋতুপর্ণাকে দেখা যাবে। সেই সঙ্গে টেলিভিশন জগতের আরো অনেক জনপ্রিয় অভিনেত্রীরা রয়েছেন মা দুর্গার আরো অন্যান্য রূপে।
তবে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ঠিক কতটা ব্যস্ততার মধ্যে এই শুটিং করেছেন? এবং এই শুটিং করতে তাদের ঠিক কতটা পরিশ্রম হয়েছে? এই সবই জানা গেছে সম্প্রতি অভিনেত্রী একটি সাক্ষাৎকারে। যেখানে তিনি শুটিংয়ের সময় তার অসুস্থতা থেকে ছোটবেলার মহালয়ার স্মৃতি সবকিছুই ভাগ করে নিয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “যখন শুটিং করেছিলাম, আমার বেশ জ্বর ছিল। ভাইরাল ফিভারে কাবু হয়েও মহালয়ার সুযোগটা আমি হাতছাড়া করতে চাইনি। সেই সময় আবার ‘দত্তা’-র শুটিং চলছিল, নির্মলদার (চক্রবর্তী) ছবি। চাপ থাকলেও ‘দেবী দশমহাবিদ্যা’ করার জন্য মন টেনেছিল খুব”।
এছাড়া নিজের ছোটবেলার মহালয়ার দিনের স্মৃতিচারণা করে বলেন, “ভোরবেলায় রেডিওর কাছে গিয়ে বসে পড়তাম। আমার ঠাকুরমা ভোর চারটের সময় মহালয়ার জন্য রেডিও চালিয়ে দিতেন। আমাদের জন্য ওই ছোটবেলায় ঘুমচোখে মহালয়া শোনা বিরাট ব্যাপার ছিল, ওটা কোনও কিছু দিয়েই রিপ্লেস করা যাবে না। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের ওই দরাজ গলা শুনে, মনে হত মা এবারে সত্যিই আসছেন। আমাদের পুজো তখনই শুরু হত”।
তবে এত কিছুর মধ্যে অভিনেত্রী বলেন তিনি খুবই উৎসাহী নিজেকে দেবী দুর্গার রূপে টিভির পর্দায় দেখার জন্য। অভিনেত্রীর সাথে সাথে অভিনেত্রীর ভক্তরাও খুবই আগ্রহী এই অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হওয়ার জন্য। অভিনেত্রী আরো বলেন যে “কালার্স বাংলা খুব সুন্দরভাবে পুরোটা করেছে। কনসেপ্ট ভাল লেগেছে। ডিরেক্টর শুভেন্দু চক্রবর্তীর ভাবনাটা সুন্দর। ওদের পুরো টিমটাই খুব ভাল”।