জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“আজ না গেলে হয় না!” স্বামীকে নিয়ে এখনও আতঙ্কিত নেট দুনিয়ার জনপ্রিয় গায়িকা! আমেদাবাদ ঘটনার অভিজ্ঞতা নিয়ে কী বললেন গায়িকা দেবলীনা নন্দী?

তিনি একজন বাংলার জনপ্রিয় ইউটিউবার তো বটেই, এমনকি নেট দুনিয়ার বেশ সুপরিচিত গায়িকাও। কথা হচ্ছে গায়িকা দেবলীনা নন্দীর। বর্তমানে, গায়িকা রয়েছেন বেশ আতঙ্কে। কারণ, ইতিমধ্যেই সকলের জানা আমেদাবাদ এরোপ্লেন বিপর্যয়ের ঘটনায় শিহরিত হয়ে রয়েছে গোটা ভারত।

আর, এয়ারক্র্যাফ্ট পেশার সঙ্গেই জড়িত রয়েছেন গায়িকার স্বামী। তাই যাঁরা ইউটিউবার তথা এই গায়িকাকে চেনেন তাঁরা জানেন দেবলীনা স্বামী হলেন একজন এয়ার ইন্ডিয়ার এয়ারক্র্যাফ্ট পাইলট। তাই খুব স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনার পরে দেবলীনা বেশ চিন্তিত তার স্বামীকে নিয়ে। বলাই বাহুল্য, দেবলীনা ভয়ের কথা ভ্লগের মাধ্যমে জানিয়েওছেন তাঁর ফলোয়ারদের।

সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমে এই বিষয় নিয়ে দেবলীনা বলেন, “বৃহস্পতিবার যখন দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, আমি শুটিংয়ে বাইরে ছিলাম। প্রবাহই আমায় প্রথম ফোন করে খবরটা দেয়। বলে, খুব খারাপ একটা খবর আছে। আসলে ওই ক্যাপ্টেন আর প্রবাহ একই সংস্থায় কর্মরত। যদিও তিনি ছিলেন প্রবাহর থেকে সিনিয়র। তবে সকলেরই মুখ চেনা। বাড়ি ফিরে যখন পুরোটা জানতে পারি, কেমন যেন শিউরে উঠেছিলাম। অথচ প্রবাহ কিন্তু আমাদের কাউকে কিছু বুঝতেই দিচ্ছে না। জানি ও ভাবছে, ওরও কষ্ট হচ্ছে, তবে ওই যে পেশার প্রতিশ্রুতি। এই ভয় পরিবারের সামনে দেখানোর নয়।”

গায়িকা আরো বলেন, “অদ্ভুত একটা কষ্ট হচ্ছে। কারণ, আমি অপেক্ষা করে বসে থাকি, কখন প্রবাহ আমায় মেসেজ করবে। প্রবাহের মা টেনশনে আমায় বারবার ফোন করতে থাকেন—‘কী রে কিছু জানতে পারলি? কোনও খবর দিল?’ তাই ও পৌঁছে আমাদের দু’জনকে একসঙ্গেই মেসেজ করে দেয়। জীবন যে অনিশ্চিত, সে কথা তো সকলেরই জানা। তবু অন্যের কষ্টের কথা ভেবেও যে কখনও এতটা যন্ত্রণা হতে পারে, এটা তীব্র ভাবে অনুভব করছি। তাই যাঁরা কাছের মানুষদের হারিয়েছেন, তাঁদের কথা ভাবতে গিয়েও মনে হচ্ছে এমনটা যেন আর কখনও না শুনতে হয়। মাঝেমধ্যেই ওকে এয়ারপোর্টে ছাড়তে যাই। কিন্তু আজ যে কেন এমন হচ্ছে জানি না। কতবার যে বলেছি আজ না গেলে হয় না। তার পরেই নিজেকে বোঝালাম, ওটা প্রবাহর কাজের জায়গা।ন্যাশনাল, ইন্টারন্যাশনাল বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরতে হয় ওকে। তাই বাড়ি থেকে কাছে হোক বা দূরে, যেখানেই ও যাক, চিন্তা একইরকম হতে থাকে আমার। সত্যি বলতে এখনও গলা কাঁপছে। এই জন্যই হয়তো বলে, জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করা উচিত। আগামিকাল কী হবে তা কেউ জানে না।”

Disclaimer: এই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত মতামত, মন্তব্য বা বক্তব্যসমূহ সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি মাত্র। এটি আমাদের পোর্টালের মতামত বা অবস্থান নয়। কারও অনুভূতিতে আঘাত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়, এবং এতে প্রকাশিত মতামতের জন্য আমরা কোনো প্রকার দায়ভার গ্রহণ করি না।

Piya Chanda

                 

You cannot copy content of this page