গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড বাইরে থেকে দেখিয়ে ঝাঁ চকচকে হলেও পরতে পরতে রয়েছে নানা অধ্যায় ও গল্প। কোনটা সাফল্যের কোনটা ব্যর্থতার আবার কোনটা লড়াইয়ের। সেই পথেই যখন একাধিক মানুষ হাঁটেন তখন দেখা হয়ে যায় একে অপরের সঙ্গে। ঠিক সেভাবেই গড়ে ওঠে নানা সম্পর্ক। কোনো কোনো সম্পর্ক ভিন্ন রূপ পায় আবার কোনটা হারিয়ে যায়। তেমনই এক রূপ পেয়েও হারিয়ে যাওয়া প্রেম কাহিনী হলো প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও দেবশ্রী রায়ের।
দুজনই নিজের ক্ষেত্রে সফল। দুজনকেই এতটাই প্রতিষ্ঠিত যে দুজনকেই এক নামে চেনে মানুষ। কিন্তু এর পরেও দুজনের এক সম্পর্ক ছিল যা অস্বীকার করা যায় না। কারণ বৈবাহিক বন্ধনে বাঁধা পড়েছিলেন দুজন। আবার বিয়ের পরেই হয়েছে বিচ্ছেদ। এই দুই কারণেই দুজনেই বেশ চর্চিত দম্পতি হয়ে থেকে গেছেন। বিয়ের মাত্র ৩ বছরের মাথায় সেই সম্পর্কে বিচ্ছেদ আসে। কিন্তু কেন?
দুজনের সম্পর্কের জটিলতা নিয়ে আজ অবধি প্রসেনজিৎ-দেবশ্রীর মধ্যে কেউই মুখ খোলেননি বা বলা চলে খুলতে চাননি প্রকাশ্যে। তাই ঠিক কি কারণে তাঁদের এই সম্পর্কে বিচ্ছেদ আসে সেটাও অনুরাগীদের কাছে অমীমাংসিত হয়ে থেকে গেছে। একজনের সামনে আরেকজনের প্রসঙ্গ উঠলেই হয় চুপ করে গেছেন বা সোজা এড়িয়ে গেছেন।
১৯৯২ সালে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং দেবশ্রী রায় দুজনেই সাতপাকে বাঁধা পড়েন। এই বিচ্ছেদের পিছনে নানা কারণ রয়েছে বলে শোনা যায়। এই বিষয়ে একবার ২০১৮ সালে দেবশ্রী রায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি মেজাজ হারিয়েছিলেন। পাশাপাশি তিনি বলেন এই বিষয়ে তিনি কিন্তু কিছুই বলবেন না। কেন প্রাক্তন স্বামীর প্রতি এতো বিরক্ত তিনি?
কেউ বলেন ১৯৯৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘উনিশে এপ্রিল’ ছবিতে জাতীয় পুরষ্কার পেয়েছিলেন দেবশ্রী রায়। স্ত্রীর এই সাফল্য সহ্য হয়নি নায়কের। এই ছবিতেই আবার তাঁদের দুজনকে শেষবার দেখা গিয়েছিল। অনেকে বলেন দেবশ্রী রায় প্রাক্তন ক্রিকেটার সন্দীপ পাটিলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
আবার শোনা যায় যে দেবশ্রী নাকি সারাদিন কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। তাই সংসার এবং মাতৃত্বের বিষয়ে নজর ছিল না। অর্থাৎ উপযুক্ত বউ হয়ে উঠতে পারেননি। এদিকে তিনি কেরিয়ারকে বিদায় জানানোর ভাবনা মানতে পারেননি। বিয়ে ভাঙার পর দেবশ্রীর আর কোনও সম্পর্ক হয়েছিলো বলে শোনা যায় না।
তবে প্রসেনজিৎ ১৯৯৭ সালে অপর্ণা গুহঠাকুরতা কে বিয়ে করলেও সংসার টেকেনি। আবার অভিনেত্রী অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়কে বিয়ে করেন ও ছেলের জন্ম হয়।