অবশেষে নক্ষত্রপতন। বাংলা টলিউড ইন্ডাস্ট্রির উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন পরিচালক তরুণ মজুমদার। সোমবার হারিয়ে গেলেন তিনি। সকালে প্রয়াত হলেন। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তরুণ মজুমদার। গতকাল দেওয়া হয় ভেন্টিলেশনে। তারপরও ফিরিয়ে আনা গেল না তাঁকে।
পরিচালকের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে টলিউড ইন্ডাস্ট্রি। এক সময় বেশ কিছু হিট সিনেমা তিনি উপহার দিয়েছেন বাংলা সিনেমা জগতকে। শুধু তাই নয় পরিচালকের হাত ধরে উঠে এসেছেন বহু জনপ্রিয় অভিনেতা এবং অভিনেত্রীরা।
পরিচালকের মৃত্যুতে তার সঙ্গে স্ত্রী সন্ধ্যা রায়ের সম্পর্ক নিয়ে নানা অজানা তথ্য সামনে আসছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো যে স্বামী হলেও কোনদিন তরুণ মজুমদারকে গুরু হিসেবে গুরুত্ব দেননি সন্ধ্যা রায়।
তরুণ মজুমদার যখন কলেজের পর দিশেহারা ঠিক সেই সময় মাথায় সিনেমার পোকা নড়ে উঠেছিল। তারপর খুঁজে নিয়েছেন জীবনসঙ্গীকে। পলাতক ছবির পর থেকে শেষের দিকের কয়েকটি ছবি বাদ দিলে প্রায় সব ছবিতেই সন্ধ্যা রায় অভিনয় করেছেন মূল চরিত্রে। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে মূল চরিত্রে না থাকলেও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র থেকেছেন তিনি।
সেটা কি তরুণ মজুমদারের স্ত্রী হবার সুবাদে? না, একেবারেই না। অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায় অভিনয় জগতে যে খ্যাতি এবং সম্মান অর্জন করেছেন সম্পূর্ণটাই নিজের পরিশ্রম ও দক্ষতার ফলে।
সন্ধ্যা রায়ের অভিনয় দক্ষতা নিয়ে কোন প্রশ্ন ওঠে না। বাড়িতেই এত বড় একজন পরিচালক থাকতেও তিনি কিন্তু নিজের স্বামীকে গুরু হিসেবে মানেননি। সে জায়গায় তিনি স্থান দিয়েছিলেন রাজেন তরফদারকে। তাঁকেই ভীষণভাবে সম্মান করতেন।
তবে এর জন্য রয়েছে একটি বিশেষ কারণ। কিশোরী বয়সেই সিনেমা পাড়ায় পা রেখেছিলেন সন্ধ্যা রায়। সে সময় তিনি যখন অভিনয় জগতে আসেন তখন তিনি একেবারে জলের মতো ছিলেন। তারপর তাঁকে অভিনেত্রী হিসেবে গড়ে তোলেন রাজেন বাবু। সেই শিল্পের দিক থেকে স্বামী তুলনায় রাজেন তরফদারকে বেশি মান্যতা দিতেন সন্ধ্যা রায়।