অষ্টমীর শুভেচ্ছা। সকাল থেকেই বহু মানুষ আজ বেরিয়ে পড়েছেন পুজো পরিক্রমায়। সকাল থেকে রাত জুড়ে গোটা বাংলায় এখন মানুষের কোলাহল, নানা স্বাদের খাবারের গন্ধ। আজ থেকেই মূলত শুরু হয়ে যায় পেটুক বাঙালির পেটপুজো। নিত্য নতুন রেস্তোরাঁর,খোজ, নিত্য নতুন রেসিপির খোঁজ।
আজ আমরা আজ খোঁজ দিলাম এক অনন্য রেসিপির। গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি আগে এটা অনেকেই খাননি। একেবারে মা-ঠাকুমার আমলের হেঁসেল থেকে তুলে আনলাম এই পদ। খাবারের শেষে টক অনেকেই ভালবাসেন খেতে। কেউ কেউ আবার মিষ্টিও খান। এতদিন অনেক মিষ্টি রেসিপি দিয়েছি তাই আজ দিলাম চিংড়ির টক। চিংড়ি পোকা হলেও এই পোকার জন্যে পাগল এমন মানুষের সংখ্যা প্রচুর। মালাইকারি বা ভাপা তো খেলেন অনেক এবার এটা ট্রাই করুন।
উপকরণ: ১. চিংড়ি
২. আমচূড়/ আমচূড় পাওডার/ তেঁতুল (যেটা খুশি ব্যবহার করা যেতে পারে)
৩. রাঙা আলু, কুমড়ো (চাইলে ইচ্ছামত সবজি যোগ করতে পারেন)
৪. শুকনো লঙ্কা, পাঁচ ফোঁড়ন
৫. হলুদ গুঁড়ো
৬. সরষে বাটা
৭. পরিমাণ মত নুন
৮. রান্নার জন্য তেল
পদ্ধতি: চিংড়িগুলোকে ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে সেটাকে জল ঝরিয়ে নুন হলুদ মাখিয়ে ১০ মিনিট মত রেখে দিন। টকের জন্য আমচূড় বা আমচূড় পাওডার বা তেঁতুল যেকোনো একটা ব্যবহার করতে পারেন। রান্নার আগেই গরম জলের মধ্যে চারটে আমচূড় ভিজিয়ে রাখুন। গ্যাসে কড়া বসিয়ে প্রথমে তেল দিয়ে গরম করে নুন হলুদ মাখানো চিংড়ি কড়ায় দিয়ে ভেজে আলাদা করে রাখুন। চিংড়ি ভাজা তেলের মধ্যেই দুটো শুকনো লঙ্কা আর সামান্য পাঁচ ফোঁড়ন দিয়ে দেবেন। মাঝারি সাইজের টুকরো করা রাঙা আলু, কুমড়ো দিয়ে আর পরিমাণ মত নুন আর এক চিমটি হলুদ গুঁড়ো দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে ভেজে নিন। আমচূড় ভেজানো জল সব সমেত কড়ায় দিয়ে আরও এক কাপ মত গরম জল দিয়ে ফুটতে দিন। ফুটতে শুরু করলে সরষে বাটার সাথে সামান্য জল দিয়ে কড়ায় দিয়ে কিছুক্ষণ ঢাকা দিয়ে ফুটিয়ে নেবেন। ঢাকা খুলে ভেজে রাখা চিংড়ি কড়ায় দিয়ে দিন। সামান্য চিনি দিয়ে আবারও কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিন। ৫ মিনিট মিডিয়াম আঁচে রান্না করলেই তৈরী চিংড়ির টক।