কনকনে শীত পড়েছে বাইরে। এর মধ্যেই যে রান্নাই হোক না কেন তার গরম গরম চাই আমাদের। এদিকে রবিবারের পর সপ্তাহে শুরু হতেই একটা মন খারাপ ছেঁকে ধরে। সে মন খারাপ কাটাতে একটা অন্য ধরনের রেসিপি আজ ট্রাই করুন আপনারা।
চিংড়ি মাছের মালাইকারি নয় তবে এটা মাংসের মালাইকারী। তাও আবার হাঁসের মাংস। আর তার সঙ্গে রাতের প্লেটে থাক গরম গরম ধোঁয়া ওঠা ভাত। এই জুটি কিন্তু শুধু গা গরম করবে না, সঙ্গে শীতের পেটপুজো একেবারে সার্থক করে দেবে। কিন্তু অনেকে মনে করেন বাড়িতে হাঁসের মাংস বানানো বেশ কঠিন। এ ব্যাপারে রেস্তরাঁর ঠিক। চিন্তা নেই। খুব সহজে বাড়িতেও বানিয়ে ফেলতে পারবেন হাঁসের মাংসের মালাইকারি।
উপকরণ: হাঁস ২টো, নারকেলের দুধ ৬ কাপ, টক দই ১ কাপ, মিষ্টি দই ১ কাপ, কাঁচা দুধ ১ কাপ, পিঁয়াজ কুচি ১ কাপ, পিঁয়াজ বাটা আধা কাপ, আদা বাটা ৪ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, জিরা বাটা ১ চা-চামচ, বাদাম বাটা ২ টেবিল চামচ, পোস্তদানা বাটা ২ টেবিল চামচ, হলুদগুঁড়ো ৮ চা-চামচ, মরিচগুঁড়ো ১ চা-চামচ, গোলমরিচ গুঁড়ো ১ চা-চামচ, গরম মশালার গুঁড়ো ১ চা-চামচ, জায়ফল-জয়ত্রী গুঁড়ো আধা চা-চামচ, দারুচিনি ৬ টুকরো, এলাচ ৬টি, লবঙ্গ ৬টি, তেজপাতা ৪টি, ঘি আধা কাপ, তেল এক কাপ, নুন পরিমাণ মতো, কাঁচা লঙ্কা ৫-৬টি, বেরেস্তা আধা কাপ।
পদ্ধতি: হাঁস পরিষ্কার করে চামড়াসহ টুকরোগুলো ধুয়ে জল ঝরিয়ে দুধ, হলুদ মেখে এক ঘণ্টা রাখুন। তেল ও ঘি গরম করে তাতে পিঁয়াজ বাদামি রঙে ভেজে সব বাটা মশলা দিয়ে কষিয়ে মাংস দিয়ে কষাতে থাকুন। এই সময়ে নুন, দারুচিনি, লবঙ্গ, এলাচ, তেজপাতা, লঙ্কা, গোলমরিচ, দই দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে ৫ কাপ নারকেলের দুধ ও ২ কাপ গরম জল দিয়ে ঢেকে রান্না করুন। এবার মাংস সেদ্ধ না হলে আরও জল দিতে হবে। মাংস সেদ্ধ হয়ে ঝোল কমে গেলে এক কাপ নারকেলের দুধ, বেরেস্তা, গরম মশলা গুঁড়ো, জায়ফল-জয়ত্রী গুঁড়ো, কাঁচা লঙ্কা দিয়ে অল্প আঁচে কিছুক্ষণ রেখে তেলের ওপর এলে মালাই দিয়ে নামিয়ে দিন। হাঁসের মাংসের মালাইকারি রুটি, নানরুটি, পরোটা, ভাত অথবা ভুনা খিচুড়ির সঙ্গে জমে যায়।