আশ্বিন সংক্রান্তি। বাংলার ঐতিহ্যবাহী একটি পার্বণ, চট্টোগ্রামসহ পূর্ববঙ্গের কিছু অঞ্চলে বিশেষ উৎসবের মধ্য দিয়ে পালিত হয়। এবারের আশ্বিন সংক্রান্তি পড়েছে ১৭ অক্টোবর, ৩১ আশ্বিন। এই উৎসবে প্রধানত সূর্যদেব ও তাঁর পুত্র অশ্বিনী কুমারদ্বয়ের উদ্দেশ্যে পুজো দেওয়া হয়, যাঁরা দেবলোকের চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত। পুজোর পাশাপাশি এসময় রাঁধা হয় গাড়ুর ডাল। কথায় আছে, আশ্বিনে রাঁধে, কার্তিকে খায় যেই বর মাঙ্গে সেই বর পায়। রইল গাড়ুর ডালের রেসিপি (Recipe)।
উপকরণ-
মুসুর ডাল: ১ কাপ
পেঁপে: ১ কাপ (কুচি করা)
কুমড়ো: ১ কাপ (টুকরো করা)
লাউ: ১ কাপ (টুকরো করা)
আলু: ১ কাপ (টুকরো করা)
মুলো: ১/২ কাপ (কুচি করা)
পুঁইশাক: ১ কাপ (কুচি করা)
পিঁয়াজ কুচি: ২ টেবিল চামচ
আদা-রসুন বাটা: ১ টেবিল চামচ
সর্ষের তেল: ২ টেবিল চামচ
শুকনো লঙ্কা: ২টি
পাঁচফোড়ন: ১ চা চামচ
হলুদ ও নুন: স্বাদমতো
গুড়: সামান্য (স্বাদ মতো)
প্রণালী-
প্রথমে মুসুর ডাল ভালো করে ধুয়ে সেদ্ধ করে নিতে হবে। সেদ্ধ ডালকে খুব ভালোভাবে মসৃণ করে মাখিয়ে নিতে হবে যাতে এটি একটি ক্রিমি টেক্সচার পায়। সবজিগুলোকে আলাদা করে টুকরো করে রাখতে হবে। এরপর একটি কড়াইয়ে সর্ষের তেল গরম করে শুকনো লঙ্কা ও পাঁচফোড়ন ফোড়ন দিতে হবে।
আরও পড়ুনঃ ডায়াবেটিসেও করুন মিষ্টিমুখ, এই বিজয়া দশমীতে বানান সুগার ফ্রি মিষ্টি
তেল গরম হয়ে গেলে পিঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা ভাজতে হবে। এরপর আদা-রসুন বাটা দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে নিতে হবে। সবজিগুলো (পেঁপে, কুমড়ো, লাউ, আলু, মুলো) একে একে দিয়ে ভালোভাবে ভেজে নিতে হবে। সবজিগুলো নরম হয়ে গেলে সেদ্ধ করা ডাল দিয়ে দিতে হবে। এতে হলুদ ও নুন দিয়ে একটু সময় ধরে রান্না করতে হবে। সবশেষে পুঁইশাক, গুড় ও সামান্য জল দিয়ে আরও কয়েক মিনিট ভালোভাবে মিশিয়ে নেড়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে গাড়ুর ডাল।