জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

নিরামিষ কুমড়ো ফুলের বড়া সবাই খেয়েছি, আজ বানিয়ে নিন সাবেকি কায়দায় আমিষ কুমড়ো ফুলের বড়া 

বহুকাল আগে থেকেই বাঙালির দুপুরের খাবারে ডালের সঙ্গে নানা ভাজাভুজির খাওয়ার চল রয়েছে। বক ফুল বা সজনে ফুলের বড়াতো কমবেশি সকলের বাড়িতেই হয়। খেতেও হয় ভালোই। ডালের সঙ্গে ক’টা বড়া ভেজে নিলেই এক থালা ভাত উঠতে বেশি সময় লাগে না।

কুমড়ো ফুলের বড়াতো আমরা সবাই খেয়েছি। কিন্তু সাবেক বাংলায় কুমড়ো ফুলের পুর নামেও যে একটি রান্না ছিল তা অনেকেই জানেন না। কুমড়ো ফুল ভাজা যেমন আদ্যোপান্ত নিরামিষ, তেমনই কুমড়ো ফুলের পুর নাম লিখিয়েছিল আমিষের তালিকায়। জেনে নিন সেই সাবেক রেসিপি।

উপকরণ- কুমড়ো ফুল, পোস্ত, চিংড়ি মাছ, নারকেল কোরা, সরষের তেল, কাঁচা লঙ্কা, নুন, বেসন, চালের গুঁড়ো, কালো জিরে, হলুদ গুঁড়ো, সাদা তেল, টুথপিক

প্রণালী- প্রথমে কুমড়ো ফুলগুলো ছাড়িয়ে, ভালো করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন। এবার সামান্য জল দিয়ে ভালো করে পোস্ত আর কাঁচা লঙ্কা বেঁটে নিন। খেয়াল রাখতে হবে বাটা যেন গাড়ো হয়। এবার একটি পাত্রে নিন পোস্ত আর কাঁচালঙ্কা বাটা, নারকেল

কোড়া, কুচো চিংড়ি, সর্ষের তেল আর নুন। খুব ভাল করে মিশ্রণটি মাখিয়ে নিন।

এবার একটি পাত্রে ব্যথার তৈরি করুন। বেসন, চালের গুঁড়ো, কালো জিরে, হলুদ দিয়ে সামান্য জল ফেটিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন ব্যাটারটি যেন ঘন হয়।এবার চিংড়ি মাখাটি নিন। একটি কুমড়ো ফুলের মধ্যে চামচ দিয়ে চিংড়ির পুর ভরুন। অতিরিক্ত ফুল ভরবেন না। এতে ফুল গুলো ফেটে যেতে পারে। এবার পুর ভরা শেষ হলে, টুথপিক দিয়ে ফুলের মুখ বন্ধ করে নিন। ভিতর থেকে যেন বেরিয়ে না যায়।

সব ফুলে পুর ভরা হয়ে গেলে, এক একটি ফুল ব্যাটারে চুবিয়ে ডুবো তেলে ভেজে তুলুন। ফুলগুলি কিন্তু অল্প আছে আঁচে ভাজবেন।

Pabitra