পুজোর এই পাঁচটা দিন যতই আমরা বাইরে বাইরে ঘুরে খাই না কেন বাড়িতে মা বা জেঠিমা-পিসিমার হাতের রান্নার আলাদাই স্বাদ। এ সময় সাধারণত আমরা একে অপরের বাড়ি যাওয়া আসা করি। বিশেষ করে মামা বাড়িতে যাওয়া হয় খুব বেশি। তাই ওই সময় দিদার কাছে বা মামা মামীর কাছে বিশেষ আবদার করে থাকি আমরা ভুরিভোজের জন্য।
এবারে আপনাদের ভোজের জন্য বিশেষ রেসিপি নিয়ে এলাম আমরা। যখন বাড়িতে একগাদা অতিথি আসে এবং হঠাৎ করে কিছু রান্না করতে হয় এবং বিশেষ করে পুজোর সময় হুটহাট করে যে কেউ এসে পড়তে পারে ঠিক সেই সময় কাজে লাগবে এই রান্না। বানাতে খুব বেশি সময় লাগে না। আর পুজোর সময় নিরামিষ রান্না কেউ খুব একটা ভালবাসে না তবে আমিষ রান্নার প্রতি ঝোক বেশি থাকে বিশেষ করে বাচ্চাদের। আর পাঁঠার মাংস হলে তো কথাই নেই। তবে এবার আর পাঁঠার মাংস কষা বা পাতলা ঝোল নয় একেবারে অন্যরকম রেসিপি নিয়ে এলাম আমরা যেটা বারানসী স্টাইলে তৈরি। মাত্র ১০ মিনিটে তৈরি হয়ে যাবে এই রেসিপি। অর্থাৎ খেয়েও খুশি খাইয়েও খুশি।
উপকরণ: মাটন কিমা করে নেওয়া
জিরে: ১ টেবিল চামচ
তেজপাতা: ১টি
শুকনো লঙ্কা: ২টি
পেঁয়াজ কুচি: ১ কাপ
রসুন বাটা: ২ টেবিল চামচ
আদা বাটা: ১ টেবিল চামচ
হলুদ গুঁড়ো: ১ টেবিল চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো: ১ টেবিল চামচ
ধনে গুঁড়ো: ২ টেবিল চামচ
গরম মশলা গুঁড়ো: আধ টেবিল চামচ
কাঁচালঙ্কা কুচি: ২ চামচ
ধনেপাতা কুচি: আধ কাপ
মেথি: ১ টেবিল চামচ
পদ্ধতি: প্রেশার কুকারে সর্ষের তেল গরম করে তাতে জিরে, তেজপাতা ও শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ কুচি, রসুন বাটা, আদা বাটা, টম্যাটো কুচি দিয়ে সামান্য নাড়াচাড়া করে নিয়ে কেটে রাখা ধনেপাতা আর কাঁচালঙ্কা কুচি দিয়ে মিশিয়ে দেবেন।
একটু জল দিয়ে মশলাটি কষিয়ে নিতে হবে এবার। গরম মশলা গুঁড়ো, কসুরি মেথি ও টুকরো করা আলু ভাল করে মিশিয়ে দেবেন। কিমা দিয়ে নাড়াচাড়া করে কুকারের ঢাকনা লাগিয়ে চারটি সিটি দিয়ে দেবেন। ব্যাস রেডি বারানসী স্টাইলে মটন কিমা কারি। এটা রাতে লুচি দিয়ে খেলে জমে যাবে পুজোর ভোজ।