পুজোর পাঁচদিন তো হইহই করে কেটেই গেলো। এবার আবার পুরনো ছন্দে ফেরা। তবে একটু সময় তো লাগবেই। আর মন খারাপ ঠিক করতে পারে দারুন দারুন সব রান্না।
তাই অপেক্ষা কীসের? আজকের এই রেসিপি পুজো হ্যাং ওভার কাটাতে হেল্প করবে। একেবারে বাঙালিয়ানা স্বাদ খুঁজে পাবেন। পেট ও মন দুটোই ভরবে। সেই সঙ্গে তৃপ্তি হবে নিজের হাতে খেয়ে ও খাইয়ে।
উপকরণ: ১. রুই মাছ
২. পেঁয়াজ কুচি, টমেটো কুচি, কাঁচালঙ্কা কুচি
৩. আদা কুচি, রসুন কুচি
৪. বেসন
৫. হলুদ গুঁড়ো, কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো , ধনে গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো
৬. লেবুর রস
৭. সরষে
৮. কাসৌরি মেথি
৯. পরিমাণ মত নুন
১০. রান্নার জন্য তেল
পদ্ধতি: মাছের টুকরো ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে জল ঝরিয়ে কিছুটা শুকনো করে রাখুন। একটা বড় পাত্রে সামান্য বেসন, পরিমাণ মত হলুদ গুঁড়ো, কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো , ধনে গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, ২ চামচ পাতি লেবুর রস, ২ চামচ তেল আর পরিমাণ মত নুন দিয়ে ভালো করে সব মশলা গুলে নেবেন। এই মশলার মধ্যে রুই মাছের টুকরোগুলো দিয়ে ভালো করে মশলা মাখিয়ে ৩০ মিনিট মত ঢাকা দিয়ে রেখে দিতে হবে। কড়ায় বেশ কিছুটা তেল গরম করে তাতে ম্যারিনেট করা মাছের টুকরোগুলো দিয়ে এপিঠ ওপিঠ করে বেশ লালচে কর ভেজে তুলে রাখুন। কড়ায় আরও কিছুটা তেল নিয়ে তাতে প্রথমে সামান্য সরষে ও কাঁচালঙ্কা কুচি দিয়ে ৩০ সেকেন্ড মত নাড়াচাড়া করে পেঁয়াজ কুচি, টমেটো কুচি, আদা কুচি, রসুন কুচি দিয়ে একটা মিহি পেস্ট তৈরী করে নেবেন। পেস্ট সরষে লঙ্কা কুচি দেওয়া তেলের মধ্যে দিয়ে কষাতে শুরু করুন আসল রান্না। হলুদ গুঁড়ো, কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো , ধনে গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো আর্ম পরিমাণ মত নুন দিয়ে আবারও কিছুক্ষণ ভালো করে নাড়ুন। তেল ছাড়তে শুরু করলে পরিমাণ মত জল দিয়ে সমস্তটা ফুটতে শুরু করলে তাতে ভেজে রাখা মাছের টুকরোগুলো দিয়ে ঢাকা দিয়ে ১০ মিনিট মত রান্না করুন। ১০ মিনিট পর ঢাকনা খুলে কাসৌরি মেথি হাতে গুড়িয়ে ছড়িয়ে দিয়ে ২-৩ মিনিট কম আছে রান্না করলেই রেডি। এবার গরম ভাতের অপেক্ষা।