জাপানি তেলের নাম শোনেনি এমন মানুষ খুব কম রয়েছে। এর এতো বেশি বিজ্ঞাপন দেখা যায় সামাজিক মাধ্যমে যে এর পরিচিতি সকলের কাছে। তবে এই তেল নিয়ে কৌতূহলও খুব বেশি দেখা যায় সবার মধ্যে।
তবে এই তেল ঠিক কতটা কাজ করে এ বিষয়ে অনেক রকম প্রশ্ন চিহ্ন রয়েছে। এই তেলকে নিয়ে বিতর্কও কম নয়। মিথ্যা দাবির অভিযোগে অনেক আগেই জাপানি তেলের বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেয় পুণের ফুড অ্যান্ড ড্রাগস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ)।
জানা যায় জাপানি তেলের সঙ্গে আদতে জাপানের কোন যোগাযোগ নেই। এই তেল জাপানে তৈরি হত বললেও তা কতটা সত্য তা জানা নেই। কিন্তু এই তেল প্রস্তুতকারক সংস্থা চতুর্ভুজ ফার্মা দাবি করে, বহু বছর আগে নানান আয়ুর্বেদিক উপাদান পুরুষদের জন্য বিশেষ পদ্ধতিতে যৌনতার এই টোটকা তৈরি করা হত ।
চতুর্ভুজ ফার্মার বক্তব্য অনুযায়ী ‘জাপানি তেল’ তৈরি হয় জলপাই তেল, লবঙ্গ, তিলের তেল, আকরকরা শিকড়, জ্যোতিস্মতি বীজ, আর্সেনিক-যুক্ত মিনারেল, কেশর, হরতাল ভস্ম দিয়ে। বিভিন্ন আয়ুর্বেদিক ওষুধের ওয়েবসাইট আনুযায়ী এ সব ছাড়াও গোল মরিচ, লতা কস্তুরি, কার্পাস বীজের তেল, জুন্দবেদস্তর বা ক্যাস্টোরিয়াম, অশ্বগন্ধা, হিং, চামেলি ফুলের তেল, জাফরান, সরষের তেল, তিল্লির তেল, চেলোপোকা ব্যবহার করা হয়।
তবে ‘জাপানি তেল’-এর মধ্যে এত কিছু থাকলেও তা আদৌ যৌ’নব’র্ধক হিসেবে কতটা কাজ করে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তবে বিজ্ঞানীরা বলেন, ‘জাপানি তেল’-এর প্রচারে যে দাবি করা হয় তা আদৌ সত্য নয়। ‘জাপানি তেল’ শুধু নয়, অন্য কিছু দিয়েই পুরু’ষা’ঙ্গের দৈর্ঘ্য বাড়ানো যায় না। এটা একমাত্র জটিল অস্ত্রপচারেই সম্ভব।