জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

“চৌর্যবৃত্তি আমার আসে না”, পরশ পাথরকে ঘিরে অনিন্দ্য–অয়নের বি’স্ফো’রক দ্বন্দ্বে তোলপাড় বাংলা ব্যান্ডমহল

২০ বছর পর ফের মঞ্চে ফিরছে জনপ্রিয় বাংলা ব্যান্ড পরশ পাথর। সদস্যদের বেশিরভাগই দলে ফিরে এলেও নেই একসময়ের মুখ্য সদস্য অনিন্দ্য বসু। কেন তিনি এই পুনর্জোটে নেই— সেই প্রশ্নের জবাবে ব্যান্ডের সদস্য অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের পরই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান অনিন্দ্য। ব্যান্ডের নতুন সফর ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে পুরনো ক্ষত আরও একবার সামনে এসে পড়েছে।

অয়নের দাবি, বাংলাদেশে অনুষ্ঠান শেষ করে ফেরার পর অনিন্দ্য নাকি বেশি পারিশ্রমিক দাবি করেছিলেন, যা মেনে নিতে পারেননি তিনি। সেই কারণেই নাকি অনিন্দ্য দলে ছিলেন না। কিন্তু অনিন্দ্য এই অভিযোগ সরাসরি উড়িয়ে দিয়ে বলেন, তিনি ‘পরশ পাথর’ ছেড়েছিলেন মিথ্যাচার সহ্য করতে না পেরে। তাঁর কথায়, ব্যান্ডে ব্যক্তিগত অবদানের যথাযথ স্বীকৃতি কখনোই দেওয়া হয়নি।

অনিন্দ্যের অভিযোগ আরও গভীর। তিনি জানান, প্রথম অ্যালবামের অধিকাংশ জনপ্রিয় গানই তাঁর লেখা ও সুর করা, কিন্তু ক্রেডিটে শুধু ব্যান্ডের নাম থাকায় মানুষ আজও বোঝে না কোন গান কার সৃষ্টি। ‘সুজন আমার ঘরে কেন আইল না’ তাঁর লেখা হওয়া সত্ত্বেও অনেকেই সেটিকে প্রচলিত গান বলে মনে করেন। এমনকি রয়্যালটির ক্ষেত্রেও নাকি তাঁরা দু’জন বঞ্চিত হয়েছিলেন। বাংলাদেশে একটি ক্যাসেট রেকর্ডের সময়ই আলাদা করে ক্রেডিট উল্লেখ করা হয়েছিল— আর সেই ঘটনাই ছিল তাঁর ব্যান্ড ছাড়ার বাঁকবদল।

অপর দিকে অয়নের পাল্টা দাবি, কিছু গান নাকি অনিন্দ্য নিজের লেখা বলে প্রকাশ করলেও আসলে লেখক ছিলেন অন্যরা। ‘যখন নীরবে দূরে’ গানটির লেখক নাকি ছিলেন মৃন্ময় নামের এক যুবক। অনিন্দ্য অবশ্য এই দাবি খণ্ডন করে পুরো ঘটনার ব্যাখ্যা দেন— কীভাবে মৃন্ময় দু’টি লাইন লিখে তাঁকে শুনিয়েছিলেন এবং বাকি গানটি তিনি সেখানেই তৈরি করেছিলেন। অনিন্দ্যের বক্তব্য, গানটি রেকর্ড হওয়ার সময় ক্রেডিটে মৃন্ময়ের নাম যথাযথভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল।

বিতর্ক এখানেই থামেনি। অয়নের দাবি, পরশ পাথরে তৈরি কিছু গানই পরে ‘শহর’ ব্যান্ড থেকে প্রকাশ করেন অনিন্দ্য। অনিন্দ্য এর উত্তরে ক্ষোভ ঝেড়ে ফেলে বলেন, ওই গানগুলি তাঁরই লেখা ও সুর করা। তাই প্রকাশের অধিকারও তাঁরই। “আমি আর মিথ্যা সহ্য করতে পারছি না। চৌর্যবৃত্তি আমার আসে না। মিথ্যাচারের কারণেই আমি পরশ পাথরে নেই”— একথাই স্পষ্ট জানিয়ে দেন তিনি। নতুন সফর শুরু হতেই পুরনো দ্বন্দ্ব ঘিরে ব্যান্ডমহল এখন চরম আলোচনায়।

Piya Chanda