বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী তার মধ্যে এই মুহূর্তে প্রথম সারিতে রয়েছেন মধুমিতা সরকার। ছোট পর্দা থেকে এখন শুধু বড় পর্দা নয় ডিজিটাল পর্দাতেও তাঁর আনাগোনা লেগেই রয়েছে। তবে নায়িকার অভিনয় জীবন যতটা না আলোচনায় থাকে তার চেয়েও বেশি একসময় আলোচনাতে ছিল নায়িকার বিয়ে এবং ডিভোর্স।
নায়িকা বিয়ে করেছিলেন অভিনেতা সৌরভ চক্রবর্তীকে। দুজনে একসঙ্গে ধারাবাহিক ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’ চলাকালীন প্রেমে পড়েন।
প্রেমের খবর ছড়িয়ে পড়ার আগেই চুপি চুপি আইনি বিয়ে সেরে নিয়েছিলেন দুজনে। কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী হলো না সেই সংসার। ২০০৯ সালের শেষের দিকে ডিভোর্স করলেন দুজনে। এ নিয়ে সম্প্রতি দিদি নাম্বার ওয়ান- এর একটি পুরনো সাক্ষাৎকার ভাইরাল হয়েছে নায়িকার। ভাইরাল হতেই নেটিজেনদের বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য আসছে নায়িকাকে কেন্দ্র করে।
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন করেছিলেন লোকজন না ডেকে বিয়ে করার কারণ কী ছিল? অভিনেত্রী অকপটে উত্তর দিয়েছিলেন কতগুলো টাকা খরচ করে লোক খাওয়ানো। আর তারপর ডিভোর্স হয়ে গেলে টাকাগুলো বেকার হয়ে যাবে। তার থেকে একটা বাড়ি কেনা ভালো। নায়িকার সেই পুরনো কথা গুলো মিলে গেল অক্ষরে অক্ষরে। সেই থেকেই নেটিজেনরা মনে করছেন তাহলে কি বিচ্ছেদ হবে এটা আগেভাগেই জেনে গিয়েছিলেন নায়িকা?
কমেন্টে কেউ কেউ নায়িকাকে বলছেন ভবিষ্যৎদ্রষ্টা। আবার কেউ কেউ বলছেন ডিভোর্স হবে জেনেই এই পথে এগিয়েছিলেন তিনি।
বিয়ের ব্যাপারে মধুমিতা জানিয়েছিলেন খুব অল্প বয়সে বিয়ে করার আফসোস রয়ে গিয়েছে। তাড়াহুড়ো করে বিয়ে না করলে কেরিয়ারে ফোকাস করতে পারতেন আরো বেশি। তিনি রোমান্টিক মানুষ তাই একদম শেষ না হয়ে যাওয়া অবধি ওই সম্পর্কটা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলেন।