বাংলা টেলিভিশনে বহুদিন ধরে খলনায়িকা চরিত্র দেখতে পাওয়া যাচ্ছে অভিনেত্রী সুচিস্মিতা চৌধুরী। সম্প্রতি তাকে দেখতে পাওয়া যায় ‘গাঁটছড়া’ ধারাবাহিকে। এছাড়া এই ধারাবাহিকে প্রথম দিকে খলনায়িকার চরিত্রে দেখা মিলেছিল তার। তবে এখনো অবশ্য তাকে অনেকটাই ইতিবাচক একটি চরিত্রে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।
তবে টিভির পর্দায় যতই তাকে নেগেটিভ ভাবে দেখা যাক না কেন বাস্তবে কিন্তু মানুষটা তিনি খুবই পজেটিভ। সম্প্রতি দিদি নাম্বার ওয়ানে এসেও নিজের পজিটিভিটির ছাপ ফেলে গেলেন অভিনেত্রী।
একটি হলুদ রঙের শাড়ি পড়ে এসেছিলেন তিনি। তাকে দেখতেও সুন্দর লাগছিল। আসবার পরে দিদি নাম্বার ওয়ান এর সঞ্চালিকা রচনা ব্যানার্জি তাকে প্রশ্ন করেন, ‘লোকের একটা একটা করে জন্মদিন আসে আর বয়স বাড়ে। তোমার তো দেখছি কমছে। নিজেকে কীভাবে এখনও এত মেনটেইন করে রেখছ তুমি।’ এরপর ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে রচনা বলে ওঠেন, ‘আপনাদের বলে দেই সুচিস্মিতার ছেলের বিয়ে হয়ে গিয়েছে, বউ নিয়ে সংসার করছে।’
এর জবাবে অভিনেত্রী জানান, ‘আমার মনে হয় জীবনটাকে ভালোবেসে সুন্দরকরে বাঁচাটা সবচেয়ে দরকর। জীবনটাকে উপহার হিসেবে ভাবা উচিত। আমাদের কারও কাছে গ্যারান্টি নেই যে কাল ঘুম থেকে উঠে কোনও খারাপ খবর পাব না। কিন্তু সকালে যখন দেখি আমি ভালো আছি, আমার পরিবার ভালো আছে, আমার কাছের মানুষরা ভালোবাসে আমি খুশি হয়ে যাই। আমার মনে হয় এটাই দরকার।’
এখনও ছিপছিপে চেহারা, কী খান সুচিস্মিতা? জবাব আসে, ‘আমি খেতে খুব ভালোবাসি। সব খাইও। আমার বর খুব ভালো রান্না করে। ছেলে খুব ভালো রান্না করে। ছেলের বউও বুঝে গিয়েছে ছেলের হৃদয়ে পৌঁছনোর রাস্তাটা খাবার দিয়ে, তাই ও আজকাল ভালো ভালো রান্না করা শিখে গিয়েছে। তবে হ্যাঁ আমি খাই, কিন্তু শরীরের উপরে অত্যাচার করি না। ওই মনে হল রাতে একগাদা খেয়ে ফেললাম ওরকম করি না।’