বর্তমানে বাংলা টেলিভিশনের চ্যানেলগুলিতে একের পর এক নতুন ধারাবাহিক আসছে তার মধ্যে অন্যতম হলো জি বাংলার সোহাগ জল। কিন্তু শুরুর কয়েক দিনের মধ্যেই এই ধারাবাহিকের অভিনেত্রীদের মধ্যে শুরু হয়েছে ঝামেলা। প্রসঙ্গত দুই অভিনেত্রী পুষ্পিতা মুখোপাধ্যায় এবং সংঘমিত্র ভট্টাচার্য তাদের দুজনের মধ্যেই এই ঝামেলার সূত্রপাত। ড্রেসিংরুম নিয়ে ঝামেলা লেগে গিয়েছে টলিউডের এই দুই সিনিয়র অভিনেত্রীদের মধ্যে তাই নিয়েই জোর চর্চা টেলিপাড়াতে।
প্রসঙ্গত সংঘমিত্রা ভট্টাচার্যের দাবি তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন পুষ্পিতা। দুদিন একসঙ্গে মেকআপ রুম শেয়ার করার পর হঠাৎই তার সঙ্গে আর মেকআপ রুম শেয়ার করবেন না এমনটাই বলেছেন তিনি। তার ফলে তাকে নাকি অনেক হয়রানি শিকার হতে হয়েছে। এমনকি এই কথা শুনে সঙ্গমিত্রা এতটাই আঘাত পান যে তার মেয়েকে ফোন করে কেঁদেও ফেলেন এমনকি কিছুক্ষণের জন্য তিনি ভেবেছিলেন শ্যুট ছেড়ে দেওয়ার কথা।
সম্প্রতি এক ডিজিটাল মিডিয়াকে সঙ্ঘমিত্রা জানিয়েছেন, ‘প্রথম দু দিন টেম্পোরারি সেটে যখন কাজ হয় ও আর আমি একসঙ্গে মেকআপ রুম শেয়ার করি। আমরা আড্ডাও মারি একসঙ্গে। তারপর যখন নারায়ণী স্টুডিয়োতে এলাম প্রথমদিন কাজে আমাকে একটা রুম দেওয়া হল, বলল পুস্পিতার সঙ্গেই আমি রুম শেয়ার করব। আমি তৈরি। এমন সময় পুষ্পিতা এল।
মেকআপ নিতেও ঢুকল। হঠাৎ দেখি একজন স্পটবয় এসে আমার ব্যাগপত্তর নিয়ে চলে যাচ্ছে। জানলাম আমাকে অন্য মেকআপ রুম দেওয়া হবে। পরে জানলাম পুষ্পিতা নাকি আমার সঙ্গে মেকআপ রুম শেয়ার করতে চায়নি। শুনেই চোখে জল চলে এসেছিল। মেয়েকে ফোন করে বলেছিলাম। ও তো শুনেই বলল তোমাকে আর কাজ করতে হবে না, বাড়ি চলে আসো।’
এক বাংলা সংবাদমাধ্যমকে পুষ্পিতা জানালেন, ‘আমার দুবার করোনা হয়েছে। ফুসফুসের অবস্থা খুবই খারাপ। তাই পারিশ্রমিকের ব্যাপারে কথা বলার আগেই প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে কথা বলি আলাদা মেকআপ রুম দেওয়া নিয়ে। এ ক্ষেত্রেও আমি কুমকুমদিকে কিছুই বলিনি। প্রযোজক সংস্থার এক সদস্যকে বলেছিলাম আলাদা ঘর হলে ভাল হয়। তখন সে কুসুমদিকে আলাদা একটা ঘর দেয়। হঠাৎ দেখি এসব শুরু হয়েছে। শুধুমাত্র প্রচার পাওয়ার জন্য, ভিউ বাড়ানোর জন্য এসব করা হচ্ছে।’