টলিউডে সরকারকে চোখ রাঙানোর ক্ষমতা বেশিরভাগ কেউই রাখেননা। যাঁরা রাখেন হয় তাঁরা নিজে টলিউডের এই মুহূর্তের বেতাজ বাদশাহ হয়ে রয়েছেন আর না হলে তাঁদের আলাদা করে টলিউডের কাছ থেকে আর কিছু পাওয়ার নেই।
শ্রীলেখা মিত্র দ্বিতীয় নম্বরের তালিকাতেই পড়েন। বড় পর্দা থেকে তাঁর কেবলই হতাশা। সে হতাশার কথা তিনি মাঝেমধ্যেই প্রকাশ করেন। সম্প্রতি তাঁর পরিচালিত একটি সিনেমা ‘ এবং ছাদ ‘ বাংলাদেশের চলচ্চিত্র উৎসবে স্থান পেলও কলকাতার নন্দনে ঠাঁই পায়নি।
স্বাভাবিক এই নিয়েও তাঁর ক্ষোভের অবকাশ নেই। কিন্তু সরকার পক্ষকে হাতে রেখে নিজে এগিয়ে যাওয়ার বিশ্বাসী নন অভিনেত্রী। তাই সক্রিয়ভাবে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও নানাভাবে নিজের মতাদর্শ ফেসবুকে ফুটিয়ে তোলেন। রাজনৈতিক মতাদর্শের দিক দিয়ে তিনি একটু বামঘেঁষা। মাঝেমধ্যেই তাঁকে লাল পতাকার অধীনে বেশকিছু মিছিল ও অবস্থান-বিক্ষোভেও দেখা যায়।
তাই মাঝে মধ্যে তিনি ফেসবুকে নানা ধরনের ফানি পোস্ট শেয়ার করেও সরকারের দিকে আঙুল তুলতে অবকাশ রাখেন না। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর এরকমই একটি ভিডিও শেয়ার করে আবার খবরে উঠে আসলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র।
কিছুদিন আগেই মেঘালয় এক রাজনৈতিক সভায় উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্থানীয় পোশাক ও টুপি পড়ে তিনি তার মত করে বক্তব্য রাখেন। কোন এক প্রসঙ্গে মেঘালয়ের সুরেলা গ্রাম কংথং এর কথাও মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে রাখেন।
সেই গ্রামের বাসিন্দারা একে অপরের সঙ্গে কথা বলেন বিভিন্ন রকমের সুর ও শিসের মাধ্যমে। তার উদাহরণ দেখাতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজেও বেশ কিছু অদ্ভুত সুর মঞ্চে সকলের সামনে নিজের বক্তব্য প্রকাশ করেন।
তারপর থেকে সেই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রেন্ডিং মিম ম্যাটেরিয়ালে পরিণত হয়েছে। সব থেকে বেশি যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর ভিডিওর সঙ্গে বাহুবলির একটি সিন জুড়ে দেওয়া হয়েছে। আর সেই ভিডিওই নিজের প্রোফাইল থেকে শেয়ার করে অভিনেত্রী ক্যাপশনে দিয়েছেন ‘ সংগৃহীত ‘। এর বেশি কোনো শব্দ অভিনেত্রীর খরচ না করলেও তাঁর অনুগামীরা নিজেরাই নানান ধরনের কথা অভিনেত্রীর মুখে বসিয়ে দিচ্ছেন। যদিও তাতে কোন আপত্তি প্রকাশ করতেও দেখা যায়নি অভিনেত্রীকে।