জি বাংলায় যে কটি নতুন ধারাবাহিক শুরু হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় হল ‘নিম ফুলের মধু’। তবে শুরুর প্রথম দিকে জনপ্রিয়তা পেলেও প্রথমেই শাশুড়ি বৌমার কুটকচালি দেখানোর ফলে, দারুণভাবে সমালোচিত হয়েছে দর্শক মহলে। কিন্তু গল্প যত এগিয়েছে ততই দেখা গেছে নায়িকা পর্না সব খারাপের মধ্যে থেকে আস্তে আস্তে ভালো গুলোকে বেছে নিচ্ছে। আর তা দর্শকের মধ্যে দারুন ভাবে প্রশংসিত হচ্ছে।
প্রসঙ্গত এর আগে যেকোনো ধারাবাহিকে শাশুড়ি বৌমার সম্পর্কের জটিলতা দেখানো হলেও সেভাবে বৌমারা কথা বলত না আর সেখানে দাঁড়িয়ে পর্নার চরিত্রটি একেবারেই অন্যরকম যা দর্শকদের মুগ্ধ করছে। তাই দর্শকদের মত পাঁকে পদ্মফুল ফোটার মতোই আস্তে আস্তে পর্নার সুন্দর মনোভাব পুরনো পন্থি ধ্যান ধারনার সৃজনের পরিবারকে অনেকটা পাল্টে দেবে।
প্রসঙ্গত ধারাবাহিকে নায়িকা পর্নার ভূমিকায় অভিনয় করছে অভিনেত্রী পল্লবী শর্মা এবং নায়ক সৃজন এর ভূমিকায় অভিনয় করছে অভিনেতা রুবেল দাস। এবং সৃজনের মা অর্থাৎ পর্নার দাপুটে শাশুড়ির ভূমিকায় অভিনয় করছে অভিনেত্রী অরিজিতা মুখোপাধ্যায়। তবে নায়ক সৃজনের চরিত্রটিকে নিয়ে দর্শকদের মধ্যে দারুন ভাবে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে তার কারণ বউ ঠিক করলেও মা যেহেতু সেটাকে ভুল বলছে সেটাই মেনে চলছে সৃজন। আর যেটা দর্শকদের কাছে একেবারে গ্রহণযোগ্য নয়।
এই ধারাবাহিকের যারা নিয়মিত দর্শক তারা জানেন পর্না নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য এবং সংসারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য চাকরি করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু সেখানে দাঁড়িয়ে পর্নার শাশুড়ি কিছুতেই তাতে মত দেয় না। যা নিয়ে বাড়িতে একেবারে দক্ষযজ্ঞ বেধে যায়। এমনকি সৃজন পর্নাকে বলে যে তাকে যেকোনো একটা কিছু বেছে নিতে হবে নয় চাকরি আর না হলে সংসার। আর নিজের আত্মসম্মান রক্ষার জন্য পর্না রাতেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে।
আবার উল্টো দিকে দেখা যায় পর্নার বস পর্নাকে বারবার অপমান করলে সৃজন ঘুষি মেরে তার নাক ফাটিয়ে দেয়। যার ফলে সৃজনকে পুলিশে ধরে নিয়ে যায়। পরে অবশ্য দেখা যায় পর্না গিয়েই তাকে ছাড়িয়ে আনে । আর এইসব সামলে শেষে ঠাম্মার অনুমতিতে সিদ্ধান্ত হয় যে সংসার সামলে পর্না চাকরি করবে। এরই মধ্যে ধারাবাহিকে এসছে নতুন ট্র্যাক।
আর এই নতুন ট্র্যাক সামনে আসতে দেখা গেছে ছেলেরা না খেলে নাকি মেয়ে বউরা খেতে পারবে না। আর তাই পর্না ভাত বাড়তে গেলে তাকে থামিয়ে দেয় তার শাশুড়ি। আর তারপরেই সবাইকে চমকে দিয়ে বাড়ির বাইরে যেখানে সৃজন ক্যারাম খেলছিল সেখানে পৌঁছে যায় ভাতের থালা নিয়ে পর্না। আর সেখানেই সে বলে ‘বাবু না খেলে যেহেতু কেউ খেতে পারবে না তাই সে এখানেই বাবুর জন্য খাবার নিয়ে এসেছে’। আর এই দৃশ্য সামনে আসতেই দর্শকরা বেজায় খুশি হয়ে গেছে পর্নার এই কাণ্ড কারখানা দেখে।