জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

Actress Father Dies: হারালেন নিজের বাবাকে, তবু নিয়মিত শুটিং করে চলেছেন এই জনপ্রিয় টেলি নায়িকা! মাঝে মাঝে ভেঙে পড়েছেন সেটে! “মন দিতে চাই” অভিনেত্রীর মানসিক দৃঢ়তাকে স্যালুট জানালো দর্শক

কিছুদিন আগেই শুরু হয়েছে জি বাংলার পর্দায় ধারাবাহিক ‘মন দিতে চাই’। যেখানে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘আয় তবে সহচরী’ খ্যাত অভিনেত্রী অরুনিমা হালদারকে এবং জি বাংলার ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ ধারাবাহিকের অভিনেতা ঋত্বিক মুখার্জিকে। শুরুর প্রথম থেকে সোমরাজ এবং তিতিরের জুটিকে বেশ পছন্দ করেছে দর্শক। তবে তাদের পাশাপাশি অন্যান্য চরিত্রদেরকেও দর্শক ভালোবাসা দিচ্ছে।

প্রসঙ্গত জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ বেশ কিছু অভিনেতা অভিনেত্রীকে ‘মন দিতে চাই’তে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। তার মধ্যে অন্যতম হলেও দেবদ্যুতি ঘোষ। যাকে এই পথ যদি না শেষ হয়তে নায়িকা উর্মির কাকিমার চরিত্রে দেখা গিয়েছিল এখন তাকে দেখা যাচ্ছে মন দিতে চাইতে নায়ক সোমরাজের কাকিমার চরিত্রে অভিনয় করতে। এর আগেও বেশ কিছু ধারাবাহিকে তিনি অভিনয় করেছেন তবে এই দুটি ধারাবাহিক থেকেই তার জনপ্রিয়তা বেড়েছে।

তবে সম্প্রতি তিনি তার একজন খুব কাছের মানুষকে হারিয়েছেন। যার ফলে ভেঙে পড়েছেন তিনি। তবে তা সত্ত্বেও তিনি নিজের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কাজ চালালেও বাবা-মা সকলের কাছে নিজের প্রাণের থেকেও বেশি কাছের হয়। তাদের মধ্যে একজন চলে গেলে সে দুঃখ কারোর সঙ্গে ভাগ করে নেয়া যায় না। আর এমনই একটি সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন অভিনেত্রী দেবদ্যুতি ঘোষ।

সম্প্রতি তিনি এক ডিজিটাল মিডিয়ার কাছে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন যেখানে জানিয়েছেন কিছুদিন আগেই তিনি তার বাবাকে হারিয়েছেন। তার বাবা তার কাছে খুবই কাছের মানুষ ছিলেন। পাশাপাশি ফ্ল্যাটে থাকার জন্য তিনি সব সময় বাবার সাথে সাথে থাকতে পারতেন। ২০২০ সালের করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন অভিনেত্রীর বাবা। তারপরে সুস্থ হয়ে বাড়ি আসেন এবং ২০২২ এ কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। তারপরেও সুস্থ হয়ে বাড়ি আসেন।

কিন্তু এরপর চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে একদিন রাতের বেলা হঠাৎই অসুস্থ বোধ করেন তিনি। অভিনেত্রী বাবাকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করলে নিজের অসুস্থতার কথা প্রথমে বলতে চান না কিন্তু পরে সে কথা মেয়েকে বলেন এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। হাসপাতালে চিকিৎসার পর তিনি অনেকটা সুস্থ হন। ডাক্তাররা তাকে কিছু দিনের মধ্যে ছেড়ে দেবেন এমনটাও জানান। কিন্তু তারপরেই হঠাৎ একদিন রাত্রিবেলা হাসপাতাল থেকে ফোন করে বলা হয় যে অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক হয়ে গেছে। আর তারপরের দিন সকাল বেলায় অভিনেত্রীর বাবা না ফেরার দেশে চলে যান। নিজের বাবাকে হারিয়ে অত্যন্ত ভেঙ্গে পড়েছেন দেবদ্যুতি। কিন্তু কাছের মানুষ চলে যায় তাদের স্মৃতিকে আঁকড়েই বাঁচতে হয়। তাই সেভাবেই নিজের কাজ করে যাচ্ছেন অভিনেত্রী।

Ratna Adhikary