জি বাংলায় বর্তমানে যে কটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো ‘গৌরী এলো’।যেখানে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যায় অভিনেত্রী মোহনা মাইতি এবং অভিনেতা বিশ্বরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ধারাবাহিকের গল্প গড়ে উঠেছে আধ্যাত্মিকতার ওপর। এই গল্পে দেখানো হয় নায়ক নায়িকা দুজনেই হরগৌরীর আশীর্বাদ ধন্য।
তবে নায়ক ঈশান একজন পরিচিত ডাক্তার হওয়ার ফলে সে কখনোই এই অলৌকিক জিনিসে বিশ্বাস করে না। কিন্তু উল্টো দিকে গৌরী হল গ্রামের সাদা সরল মেয়ে, যার মা কালীর উপর অগাধ বিশ্বাস। আর ঈশানের পিসি শৈল মা হলো এই ধারাবাহিকের খলনায়িকা যে সবসময় গৌরীর ক্ষতি করতে চায়।
যারা এই ধারাবাহিকের নিয়মিত দর্শক তারা জানে যে সম্প্রতি একটা অদ্ভুত রোগ নিয়ে ঈশানের কাছে চিকিৎসা করাতে এসেছে বেশ কয়েকজন লোক। যাদের সারা শরীরে ঘা ভর্তি হয়ে গেছে এবং জ্বর হয়েছে। তাদের এই অসুখ দেখে ঈশান আলাদা একটা ঘরে তাদের রাখে এবং তাদের চিকিৎসা শুরু করে। কিন্তু গৌরী তাদের কষ্ট দেখে থাকতে না পেরে একটা জরিবুটির প্রলেপ তৈরি করে এনে তাদেরকে দেয়। এবং তারা সেগুলো গায়ে লাগায়।
এরপরই দেখা যায় সেই লোক গুলো আস্তে আস্তে সুস্থ হতে শুরু করে। কিন্তু উল্টো দিকে গৌরী ওই অসুস্থ লোক গুলোর কাছে এসেছে বলে ঈশান তাকে বকতে থাকে। এরপরে গৌরী কাঁদতে কাঁদতে ঘোমটা কালী মায়ের কাছে এলে সে দেখতে পায় তার গায়ে ওই ঘা গুলো ভর্তি হয়ে গেছে। ঈশান সহ বাড়ির সকলে এটা দেখে চিন্তিত হয়ে পড়ে।
পরবর্তী পর্বে দেখা যাবে ঈশানের দিদি নীলা ঠাকুর ঘর থেকে গৌরীর বানানো সেই জরিবুটির প্রলেপটা নিয়ে বলে, যে এটা গৌরীর গায়ে লাগালে সকলের মত গৌরীও সুস্থ হয়ে যাবে। আর তখন সে সেটা নিয়ে গৌরীর কাছে যেতে লাগে। কিন্তু আড়াল থেকে শৈল মা হাতে আসল জড়িবুটির বাটিটা নিয়ে বলতে থাকে যে গৌরীর বানানো ওষুধের বাটি আমার কাছে। এর পরে দেখা যায় গৌরী নীলার নিয়ে যাওয়া প্রলেপটা গায়ে লাগাতেই চিৎকার করে ওঠে।
তবে পরবর্তী দিনে কী হতে চলেছে বা মা কালী গৌরীকে কিভাবে রক্ষা করবে শৈল মায়ের এই চক্রান্ত থেকে তা কিছুই জানা যায়নি। এগুলো জানতে গেলে পরবর্তী দিনে ‘গৌরী এলো’তে চোখ রাখতে হবে।