বাংলায় একটা সময় দেখিয়েছে ভিলেইন ক্যারেকটার ঠিক কেমন হয়! সিনেমার গল্প যত পাতি হোক হিরো আর খলনায়ককে হতে হবে তাবড়। হিরো হবে যত ভালো, খল নায়ক হবে তত বাজে। তখন এতটাই চরিত্র হয়ে ফুটে উঠত তাঁরা যে দর্শকরা তাঁদের আসল জীবনেও পছন্দ করত না।
আর এইরকম নাম করা ভিলেইনদের গুরুর নাম হচ্ছে বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়। ভিলেইন কাকে বলে দেখিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তিনি সিনেমায় রয়েছেন মানেই জানেন যে সেই সিনেমার কোনও কাজই সহজভাবে হবে না। দর্শকরা যেন তাঁকে সিনেমা হলেই জুতো ছুঁড়ে মারেন।
এতটা চরিত্র হয়ে উঠতে পারা একজন মহান শিল্পী ছাড়া সম্ভব নয়। আর বিপ্লব চ্যাটার্জী সেই শিল্পীর নাম। ‘প্রজাপতি’, ‘মহান, ‘লোফার’ – এর মতো একাধিক হিট সিনেমা তাঁর ঝুলিতে। আর নিজের মহান কাজ নিয়ে এই জগতে কাটিয়ে দিলেন ৫৩ টা বছর।
স্বাভাবিক এতে অনেক ওঠা নাম রয়েছে। আর সেই ৫৩ টা বছরের গল্প উঠে এল বইয়ের ছাপার অক্ষরে। নিজের জীবনী প্রকাশ করলেন অভিনেতা। নিজের আত্মজীবনীর নাম দিয়েছেন, ‘ আমি বিপ্লব ‘। বইটির অনুলিখনের দায়িত্বে রয়েছেন সুমন গুপ্ত।
বইটি প্রকাশনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানও হয়ে গেল ঘটা করে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইন্ডাস্ট্রির বড় বড় মানুষরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, শুভাশিস মুখোপাধ্যায় সহ অনেকে।
তবে প্রকাশনার সময় তাঁর গলায় ভালোর থেকে ক্ষোভের সুর ভেসে এল। বড় পর্দার বাইরে থেকে দেখার জগৎ ও ভিতরের জগৎ অনেকটা আলাদা। আসলে পুরোটাই আলাদা। কথায় বলে বাইরে থেকে যত চকচক করে ভিতরে তত অন্ধকার।
আর সেই বিষয়ে আরও ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। তাঁর ক্ষোভের মধ্যেও দুঃখ প্রকাশ পেল যে ইন্ডাস্ট্রির বহু মানুষের তিনি বন্ধু হয়েছেন কিন্তু নিজে কোনও বন্ধু পাননি। এছাড়া তাঁর আরও বড় অভিযোগ। বলে উঠলেন, ইন্ডাস্ট্রিতে প্রচুর কাজ করেছি, আবার অনেক কাজ হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে। দুঃখের বিষয় অনেকেই শত্রুতা করেছেন। কলকাঠি করে আমাকে কাজ করতে দেননি। তাই ইন্ডাস্ট্রিতে আমার বন্ধুর থেকে শত্রুর সংখ্যাই বেশি।