জি বাংলার সম্প্রতি শুরু হওয়া এক অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল ‘সোহাগ জল’। ধারাবাহিকের প্রোমো দেখে অনেক দর্শকের পছন্দ হয়। কারণ অন্যান্য ধারাবাহিকের থেকে এই ধারাবাহিকের গল্পটা একটু আলাদা। অন্যান্য গল্পে যেমন বিচ্ছেদ থেকে অনুরাগ হয় নায়ক-নায়িকার মধ্যে, এখানে ঠিক তার উল্টো। তাই শুরু হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই দর্শকদের মন জয় করে নেয় এই ধারাবাহিক।
তবে ধারাবাহিক কয়েকদিন গড়াতেই দর্শকরা বুঝতে পারেন এই ধারাবাহিক অন্যান্যের থেকে তেমন আলাদা নয়। এখানেও আছে ঠিক একই কুট-কাচালি। বাংলা ধারাবাহিক মানেই রয়েছে পরকীয়া। ত্রিকোণ প্রেমের একটা আভা প্রায় সমস্ত ধারাবাহিকের পাওয়া যায়। আর সেখান থেকেই শুরু যত সমস্যা। প্রতি নতুন ধাঁঝের গল্প নিয়ে শুরু হওয়া ধারাবাহিকই শেষে এক ঘাটেই জল খায়। তবে দর্শকদের একাংশ মনে করেন, তাদের পছন্দের ধারাবাহিক ‘সোহাগ জল’ অন্য ধারাবাহিকের থেকে আলাদা।
কিন্তু গল্প যত এগোয়, তত কয়েকজন দর্শক এই ধারাবাহিকেও পরকীয়ার আভাস পায়। প্রথম থেকেই নায়ক-নায়িকার মধ্যে খুব একটা মিল দেখা যায়নি। শুভ্র এবং জুইয়ের বোঝাপড়ার গল্প নিয়েই শুরু হয় ‘সোহাগ জল’। কিন্তু তাদের মধ্যে বারবার ঢুকতে দেখা গিয়েছে শুভ্রর বৌদিকে, যিনি বিধবা। যা নিয়ে রীতিমতো খেপে উঠেছেন দর্শকরা। এমনকি ধারাবাহিকের লেখিকার উপরেও বেজায় চটেছেন। শুভ্রকে পছন্দ করে সে, আর তাই শুভ্র এবং জুইয়ের মধ্যে ঝামেলা পাকানোর সৃষ্টি করছে শুভ্রর বৌদি বেণী। এটাকে কিছুজন পরকীয়া হিসাবে দেখলেও, বেশিরভাগেরই দাবি, এটা কোনওমতে পরকীয়া নয়। কারণ বেণী বৌদি শুধু শুভ্রকে চান, শুভ্র নয়। তাই এক তরফের ভালোবাসা পরকীয়া হতে পারে না।
এবার গল্পে এল নয়া ট্যুইস্ট। ধারাবাহিকের বেণী বৌদি গর্ভবতী। কে এই বাচ্চার মা? তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। কেউ কেউ বলছে, শুভ্রই এই বাচ্চার মা,আবার কেউ কেউ অন্য কথা বলছেন। আসলে এসবই শুধুমাত্র এক ভক্তের হাস্যকর পোস্ট। সে মজার আবহ সৃষ্টি করার জন্য ‘সোহাগ জল’-এর বেণী বৌদিকে নিয়ে এমন পোস্ট করেছেন। যা দেখে হেসে কুটোপুটি খাচ্ছেন নেটিজনেরা। পোস্টে লেখা হয়, “এই মুহুর্তের সব থেকে বড় খবর – মা হচ্ছেন বেনি বৌদি, কিন্তু কে এই বাচ্চার বাবা?? সিরিয়ালে আমরা প্রথম থেকেই দেখছি গল্পের নায়ক শুভ্র চ্যাটার্জী তার বেনি বৌদির অত্যন্ত কাছের,, তাহলে কি শুভ্র চ্যাটার্জীই এই বাচ্চার বাবা? একদমই নয়। “
আরও বলেন সেই দর্শক, “কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে চ্যাটার্জি বাড়ির আরেক ছেলে সাম্য চ্যাটার্জির স্ত্রী যখন বাপের বাড়ি যেতেন তখন মাঝে মধ্যেই সাম্য চ্যাটার্জি শরনাপন্ন হতেন তার বেনি বৌদির কাছে,, মাঝ রাতে ঢুকে যেতেন তার বৌদির ঘরে,, উল্টোদিকে নাকি বেনি বৌদিও দরজা খুলে অপেক্ষা করতেন তার ঠাকুরপোর জন্য,,এবং এদের সেই রাতের ঘনিষ্ঠতারই ফসল এই সন্তান,,দুই ভাইয়ের লড়াই এ জিতে গেল বড় দাদা,,এখন দেখার বিষয় কী হতে চলেছে এই বাচ্চার ভবিষ্যত্? আপাতত এই টুকুই,,ফিরে আসছি একটা ছোট বিরতির পর #24ঘন্টাসঙ্গেশুভ”