এই লিভি’নের যুগে, প্রেম ভালোবাসার পরও যারা বিয়ে অবধি সম্পর্ককে নিয়ে যেতে চায় তাঁদের একে অপরের প্রতি বন্ধন বেশ ভালই মজবুত বলে ধরে নেওয়া হয়। কখন কোন সম্পর্ক ভেঙে যায়, তাঁর কোনও হিসেব নেই। তাই ডিভোর্সের ঝামেলা এড়িয়ে যেতে লিভ ইন এখন সকলের পছন্দ। কিন্তু তাও কিছু মানুষ একদম বিয়ের মতো মজবুত বন্ধনেই বাঁধতে চান।
আর সেরকমই একটা মজবুত ও চর্চিত জুটি হচ্ছে অভিনেতা গৌরব চক্রবর্তী ও অভিনেত্রী ঋদ্ধিমা ঘোষ। সম্প্রতি একটি রেডিও পডকাস্টে তাঁরা নিজেদের প্রেমের এক একটি কাহিনী তুলে ধরছেন। আর সেই কাহিনী বলার সময়ই নিজেদের একটি ডার্ক চ্যাপ্টার প্রকাশ্যে আনলেন।
সন্দেহ বাতিক ছিলেন অভিনেতা গৌরব চক্রবর্তী? অবশ্য বেশ কয়েকজন বলেছেন অভিনেত্রী কাজটিও করেছেন সন্দেহ করার মতোই। আর এই “তৃতীয় ব্যক্তি” ছিলেন অভিনেতা ইন্দ্রাশিস রায়। যিনি কিন্তু গৌরব চক্রবর্তীর খুব ভালো বন্ধু ছিলেন। খুব মানে একটু বিশেষ ভালোই বন্ধু ছিলেন।
সব কিছুর সূচনা হয় পরিচালক কৌশিক গাঙ্গুলির “রংমিলান্তি” সিনেমার শ্যুটিং এর সময়। এই সিনেমার মুখ্য চরিত্রে নাম ঠিক হয়ে যায়, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, চূর্ণী গঙ্গোপাধ্যায় ও রিঙ্গো বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আর বাকি ঋক, লাদেন, টিটো এই চরিত্রে যথাক্রমে গৌরব চট্টোপাধ্যায়, তানাজি দাশগুপ্ত, ইন্দ্রাশিস রায়।
কিন্তু পাওয়া যাচ্ছিল না অভিনেত্রীকে। সুন্দরী, বুদ্ধিদীপ্ত, আধুনিক সবই একসঙ্গে হতে হবে। কিন্তু শেষে বেছে নেওয়া হয় অভিনেত্রী ঋদ্ধিমাকেই। আর ব্যাস সেখান থেকেই পরিচয় ঋদ্ধিমা ইন্দ্রশিষের। ভালো করে বন্ধুত্ব হওয়ার জন্য সবাইকে নিয়ে বোলপুরেও যাওয়া হয়। আর সেখানে এক রাত আড্ডার পর “ভাই – ভাই” সম্পর্কও গিয়ে যায় তাঁদের।
এত দূর অবধি সব ঠিক থাকলেও, একটু যেন অতিরিক্ত ভালো বন্ধু ছিল ওরা। সারাদিন ওকে অপরকে ম্যাসেজ করতো। আর এতেই একটু পিজেসিভ হয়ে যায় প্রেমিক গৌরব। সেই নিয়ে একটু মন অভিমানও চলে বটে। ওরা নাকি এতটাই বন্ধু ছিল বন্ধু মহলে ওদের নিয়ে রাগারাগিও হতো। কিন্তু সেসব কিছুই না। সব কিছুকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তাঁরা দুই বন্ধু দিব্যি আছেন তাঁদের মতো করে। বন্ধুও থাকেন আবার রাখীও পরান।