টেলি পাড়ায় সফলতা পাওয়া কখনই সোজা কাজ নয়। আসলে শিল্পের কোনও ধরা বাঁধা ছক থাকে না। দিন শেষে শুধু এটুকুই চাওয়া থাকে তাঁদের, দর্শক যেন তাঁদের পছন্দ করে। আর সেটা হলেই কেল্লাফতে। কিন্তু সেই পথটাও কী সহজ? আসলে
“ওম শান্তি ওম”-এ শাহরুখ খানের বিখ্যাত ডায়লগ, জীবনে কোনও ইচ্ছাকে মন থেকে চাইলে পুরো ব্রহ্মাণ্ড তোমাকে তার সঙ্গে জুড়ে দিতে সাহায্য করে, যেন বার বার প্রত্যেকের জীবনে ঘুরে ফিরে সত্যি প্রমাণিত হয়।
ব্যতিক্রম হয়নি জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক “মন দিয়ে চাই” এর সোমরাজের। তাঁর আগেও তিনি জনপ্রিয় হন, “এই পথ যদি না শেষ হয়” ধারাবাহিকে। আজ এই অভিনেতা নিজের জায়গা ধীরে ধীরে গড়ে তুলছেন। কিন্তু জীবনের এই পর্যায়ে পৌঁছাতে তাঁকে নানা ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়েই যেতে হয়েছে।
আশা করি বুঝেই গিয়েছেন, কথা হচ্ছে অভিনেতা ঋত্বিক মুখার্জিকে নিয়ে। ছাত্রাবস্থায় ভালোবাসতেন অভিনয়কে। মনের খিদে মেটাতে তিনি প্রথমে থিয়েটার ও স্বল্প দৈর্ঘ্যের সিনেমা করতেন। কিন্তু অভিনেতার দাবি তখন অভিনয় করে পেটের খিদে মিটত না।
অবশেষে অভিনয় ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। বরং খুঁজতে থাকেন নানা ধরনের কাজ। অভিনেতা নিজে জানান, “কাজ খোঁজা শুরু করি। বহু কাজ করি, আবার পরবর্তীকালে ছেড়ে দিই”। যদিও কাজের ক্ষেত্রে বড় ছোট কোনও মাপ রাখেননি ঋত্বিক। জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ সবই করেছেন।
অভিনেতা জানিয়েছেন, স্কুল কলেজের বাইরে লিফলেট বিলি করা থেকে শুরু করে পাড়ার মোড়ে সবজি বিক্রি সবই করেছেন তিনি। কিন্তু মনে মনে ভালোবেসে গিয়েছেন সেই অভিনয়কে। অবশেষে নিজের দক্ষতায় তিনি সুযোগ পান “এই পথ যদি না শেষ হয়” ধারাবাহিকে।
জীবনের এই নতুন অধ্যায়কে বেশ উপভোগই করছেন তিনি। অভিনেতার দাবি অনেক নতুন বিষয় শিখছেন। তিনি তাঁর জীবন থেকে যা চাওয়ার ছিনিয়ে নিতে রাজি, তাঁর দাবি শুধু দর্শকদের ভালোবাসা।
সম্প্রতি অভিনেতার ফ্যান পেজ থেকে তাঁর প্রথম দিকের কাজের একটি ক্লিপ ভাইরাল হয়। আর তা থেকেই আরও হইচই পড়ে যায়। স্টার জলসার বিখ্যাত ধারাবাহিক, “প্রথমা কাদম্বিনী”- তে একটি ছোট্ট পার্শ্ব চরিত্রও করেছিল। আর সেটি দেখেই দর্শকরা আরও বেশি মোহিত হয়ে যান। অনেকেই লিখেছেন, “আজ কঠোর পরিশ্রমের ফলেই সে এতটা উঁচুতে উঠতে পেরেছে”। আর সত্যিই তো তাই।