সন্ধ্যা বেলায় অফিস টিউশন এবং বিভিন্ন জায়গা থেকে বাড়ি ফিরে বাড়ির সদস্যদের কারুরই আর কিছু রান্না করতে ভালো লাগে না। কিন্তু সন্ধ্যেবেলায় চাপা কফি হলে তার সঙ্গে কিছু মুখরোচক না হলে মন ভালো থাকে না। তাই আপনাদের মন ভালো করার জন্য আজকে একটা দারুন কাবাব রেসিপি শেয়ার করলাম।
না চিকেন না মাটন দিয়ে নয়, এটা হল ভেজ কাবাব রেসিপি। অনেক সময় বাড়িতে চিকেন বা মাটন না থাকলে আপনারা এটা বানিয়ে নিতে পারেন। আবার যেদিন বাড়িতে নিরামিষ রান্না হলো সেদিন খাবার একটু টুইস্ট আনতে এই স্বাদের খাবার বানাতে পারেন। আজকেই একবার ট্রাই করে দেখুন সন্ধ্যেবেলায়।
উপকরণ: ১. পালক শাক
২. আলু সেদ্ধ
৩. পনির
৪. ব্রেডক্রাম্বস
৫. ময়দা
৬. আদা কুচি, রসুন
৭. ক্যাপসিকাম, মটর শুটি, বিনস কুচি
৮. কাঁচা লঙ্কা
৯. গোটা জিরে
১০. হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, গরম মশলা গুঁড়ো
১১. ধনে গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, আমচুর গুঁড়ো
১২. কাজু বাদাম
১৩. রান্নার জন্য তেল
১৪. পরিমাণ মত নুন
পদ্ধতি: কড়ায় ২ চামচ মত তেল নিয়ে গরম করে ১ চামচ গোটা জিরে, আদা কুচি, ২-৩ কোয়া রসুন, ২ টো কাঁচা লঙ্কা দিয়ে কয়েক সেকেন্ড নেড়েচেড়ে নিতে হবে। ক্যাপসিকাম কুচি, মটরশুঁটি, বিনস কুচি দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়েচেড়ে ভেজে পালক শাক কুচি দিয়ে সবটাকে ভালো করে ভেজে নিন। শাক ভাজা হয়ে গেলে মিক্সিতে দিয়ে একটা পেস্ট বানান। অন্য একটা বড় পাত্রে সেদ্ধ আলু ও পনির গ্রেট করে নিয়ে একে একে জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, গরম মশলা গুঁড়ো, সামান্য হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, আমচুর গুঁড়ো, পরিমাণ মত নুন আর তৈরী করা শাকের পেস্ট দিয়ে সবটাকে ভালো করে একসাথে মাখিয়ে নিন। কয়েক চামচ ব্রেডক্রাম্বস ও কয়েক চামচ ময়দা দিয়ে আবারও কিছুক্ষণ মেখে রাখুন। তারপর হাতে কিছুটা তেল নিয়ে আলু আর শাকের মশলা মিক্স দিয়ে প্রথমে বলের মত গলা বানিয়ে তারপর হাতে করে চেপে দিন। ওপরে একটা কাজু বাদাম চেপে বসিয়ে দিলেই ভেজে কাবাব ভাজার আগের পদ্ধতি অবধি তৈরি। কড়ায় বেশ কিছুটা তেল নিয়ে গরম করে কাবাব গুলোকে উল্টে পাল্টে কয়েক মিনিট ভেজে নিন। ভাজা হয়ে গেলে তেল ঝরিয়ে তুলে নিলেই তৈরী দুর্দান্ত স্বাদের ভেজ কাবাব।