বাংলা টেলিভিশনে দর্শকদের সবচেয়ে প্রিয় ধারাবাহিকের মধ্যে একটি হল ‘মিঠাই’। দু-বছরেরও বেশি সময় ধরে অতিবাহিত এই ধারাবাহিক দর্শকদের মন জয় করে রয়েছে। গল্পে নানান নতুন মোড়, নতুন চমক ধারাবাহিকের প্রতি আরও উৎসুক বাড়িয়েছে দর্শকদের। প্রথম থেকেই মিঠাই-উচ্ছেবাবুর দুষ্টু-মিষ্টি জুটি বেশ প্রিয় সকলের। পাশাপাশি মিঠাই-এর অভিনয়, মুখের মিষ্টি ইংরেজি শব্দ, আদব-কায়েদার প্রেমে পড়েছেন বহুজন।
মিঠাই এখন সকলের ঘরের নিজের লোক হয়ে উঠেছে। ধারাবাহিকে মিঠাই-এর মৃত্যুর পর ধারাবাহিকের টিআরপিও তাই তলানিতে নামতে শুরু করে। মিঠাইকে দেখার জন্য উৎসুক হয়ে ওঠে দর্শক। এরপরই মিঠি রূপে মিঠাই-এর আগমন। সিডের ছেলে বাক্যের প্রতি মিথির মমতা, দুষ্টু মিথির চটাং চটাং কথা ফের মন জয় করে নেয়।
কিন্তু সেখানেই শেষ নয়, ফের দর্শকদের অবিরাম চাহিদার জেরে মিঠাইও ফিরে আসে। মিঠি-মিঠাই উভয় রোলে সৌমিতৃষা যে অভূতপূর্ব অভিনয় করেছেন, তা দেখে মুগ্ধ মিঠাই ভক্তরা। এতদিন পর মিঠাই-এর সেই পারফেক্ট অভিনয় করতে একটুও সমস্যা হতে দেখা যায়নি। সৌমিতৃষা কুন্ডু বাস্তব জীবনেও খুব মিষ্টি একটা মেয়ে। সকলের কাছেই খুব প্রিয় সে।
এতদিন মিঠাইকে দেখা গিয়েছিল মেয়ে মিষ্টির সঙ্গে। মিষ্টির প্রতি তার ভালোবাসা অত্যন্ত স্নেহময় ছিল। এবার শাক্যের সাথেও তাই দেখা গেল। মেয়ে মিষ্টিকে খুঁজতে গিয়ে শাক্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় তার। ক্ষণিকের জন্য শাক্যের প্রতি তার চোখে মাতৃস্নেহ জেগে ওঠে। সৌমিতৃষার এরূপ অভিনয় মুগ্ধ করেছে সকলকে। তার প্রতিটা চরিত্র তার অভিনয় দক্ষতার দ্বারা খাপে খাপ গেঁথে যায়।
অভিনেত্রীর ভক্তরা তার অভিনয়ের প্রেমে পরে গিয়েছে। একজন সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “মিষ্টি – মিঠির মিষ্টত্ব দেখার পর শাক্য – মিঠাই-এর দৃশ্য দেখার জন্য উদগ্রীব হয়েছিলাম।প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কিছু দেখতে পেলাম। সৌমিতৃষার প্রতিটি মুহূর্তের ভিন্ন ভিন্ন অভিব্যক্তি নিরবিচ্ছিন্নভাবে একটি দৃশ্যকে বাস্তবিক করে তোলে, কোথাও কোনো জোর নেই, কোথাও কোনো নেকি ভাব নেই। অভিনয় যে শিল্প তা তাকে দেখেই বোঝা যায়। এই প্রতিটি চরিত্রের জন্য আলাদা আলাদা অভিব্যক্তি, কথা বলার ধরন, ভিন্ন gesture, body language. কখনো একটার সাথে আরেকটা মুহূর্তের জন্যও মিশে যায়নি। এতো কঠিন একটি challenge কে যে এতো সহজেই সামলে নিতে পারে তার সামনে বাকি সব কিছু ফিকে হয়ে যায়। সামনের দিনগুলো আরো উজ্জ্বল এবং সাফল্যমণ্ডিত হোক – এই শুভকামনা রইলো”।