আর কতদিন বিচ্ছেদ সহ্য করবেন দর্শকরা? ভালোবাসার জুটিকে বার বার কাছে এসেও ধরা দিতে না দেখে তাঁদের আর ভালো লাগছে না। দর্শকরাও যেন আর ধৈর্য্য ধরতে পারছেন না। আশা করি বুঝেই গিয়েছেন কিসের কথা হচ্ছে? ঠিকই ধরেছেন, মিঠাই ধারাবাহিকে মিঠাই ও সিডের মানে মিঠাইয়ের এক কালের উচ্ছেবাবুর কথা হচ্ছে।
আসলে এটা তো আর কারোর জানা বাকি নেই যে এক সময় একতরফা ও একটানা টি আর পি লিস্টের শীর্ষে থেকেছে জি বাংলা তথা বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠাই। তবে তারপর টি আর পি লিস্টে নিজের জায়গা একটু একটু করে হারালেও এতদিনে, মিঠাই সিরিয়াল যে মানুষের ইমোশন পরিণত হয়ে গিয়েছে তা কি আর আলাদা করে বলতে লাগে। মিঠাই এতদিন তাঁদের নিজের মেয়ে হয়েই ছিল। কিন্তু এর মাঝে বার বার বহু কারণে দর্শকরা হতাশ হচ্ছে।
মিঠি মিঠাই এইসব নিয়ে যখন রীতিমতো কনফিউজ দর্শকরা তখনই মিঠাই ফিরে এল সিদ্ধার্থ এর জীবনে হঠাৎ করেই। তাও আবার মিষ্টিকে নিয়ে। শাক্যকে যখন সবে মায়ের আদরে মিঠি জড়িয়ে ধরল তখনই মিঠাই ফিরে এল। অমনিই যেন ত্রিকোণ প্রেমের গন্ধ ভেসে এল। কিন্তু এখানেই তো মিঠাই আলাদা। কেন আলাদা? সেই কথাও ব্যখ্যা করল খোদ অনুরাগীরা। ত্রিকোণ প্রেমের গল্প তো হলই না। বরং গল্পের ছক গেল অন্যদিকে। মিঠি কিন্তু মিঠাইকে নিজের প্রতিপক্ষ বা শত্রু হিসেবে ভাবেওনি। বরং নিজের রাস্তা পরিষ্কার করার জন্য অন্য কোনও ছক কষেনি।
কিন্তু তারপরেও যেন কিছুতেই এক হয়েও আর এক হচ্ছে না তাঁরা।বার বার করে নতুন করে একটা আশা গড়ে উঠল দর্শকদের মনে। এবার অবশেষে শান্তিতে মিঠাই ও সিদ্ধার্থ এক হবে। এক বছর আগে যেদিন মিঠাই সিড আলাদা হয়ে যায় সেদিনই এবছর এত বাঁধার পর শিব রাত্রিতে এক হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন দর্শকরা। কিন্তু এবারেও তাই হল না।
তবে এবারে সিড আবার মিষ্টির বন্ধু হয়ে এসেছে। শুধু তাই নয়, মিষ্টিকে স্কুলে ভর্তি করিয়েছে। তাই নিয়ম করে সে মিষ্টিকে স্কুলে দিতে যায় ও নিতে যায়। কিন্তু এসবের মধ্যেও মিঠাইকে তাঁর বাড়ির লোক বেশ ভালোই চেপে ধরে। তবে সব বাঁধা পেরিয়ে মিষ্টির বন্ধুকে নিয়ে মিঠাইয়ের মনে একটা আবেগ তৈরি হচ্ছে। মিঠাই ভাবেও, মিষ্টির বাবা থাকলে মিষ্টিকে এভাবেই তো যত্ন করতো। তাই দর্শকদের দাবি, মিষ্টির বাবার না হোক, মিষ্টির এই নতুন বন্ধুর প্রেমেই পড়ুক মিঠাই, বাকি মিঠাইয়ের “উচ্ছেবাবু” নিজেই সামলে নেবেন।