ধারাবাহিক সেরা হতে গেলে যা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন তা হল, একটি সুন্দর গল্প যা অন্য ধারাবাহিকের থেকে আলাদা এবং অন্যটি হল, প্রতিটি চরিত্রকে দক্ষ অভিনয়ের দ্বারা ফুটিয়ে তোলা। প্রিয় নায়ক – নায়িকাদের জন্য যেমন ধারাবাহিক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে, ঠিক তেমনি ভালো ধারাবাহিকের জন্য নায়ক-নায়িকাদের পরিচিতি মেলে।
একজন ভালো নায়িকা তার দক্ষতার দ্বারা ভিন্ন ধারাবাহিকে ভিন্ন রোল ফুটিয়ে তোলে। তবে পরিচালক ও লেখক তাঁদের নিজস্ব চিন্তা শক্তির দ্বারা গল্পের নায়িকাকে তৈরী করে। এদের মধ্যেই কিছু নায়িকা হয়ে ওঠে চুপচাপ শান্ত প্রকৃতির, যারা নিজের উপর হওয়া অত্যাচারও অনেকসময় মুখ বুঝে সহ্য করে।
আবার কিছু নায়িকা রাগী, অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে সর্বদা এগিয়ে আসে, ভুল কোনোদিনই সহ্য করেনা। দর্শকরা নিজস্ব স্বভাবের উপর নির্ভর করেই পছন্দের নায়িকাকে বেছে নেয়। এরমধ্যে সৌভিক চক্রবর্তীর গল্পের নায়িকাগুলি একটু আলাদা ধাঁচের। রাগী, চঞ্চল, স্ট্রেট ফরোয়ার্ড নায়িকা, কিন্তু সাধারণত এদের স্বামী কিন্তু অনেকটাই বিপরীত। যেমন ‘এই পথ যদি শেষ না হয়’-এর উর্মি। দুষ্টু, মিষ্টি, প্রতিবাদী মেয়ে সে।
অন্যদিকে ‘নিম ফুলের মধু’র পর্ণাও প্রতিবাদী, পুরোনো ভুল ধারণাকে মুছে নতুনকিছু গ্রহণ করতে বিশ্বাসী, ভুলকে আপস না করে অন্যকেও ভুল থেকে সরিয়ে আনতে এগিয়ে আসে। আবার ‘খেলনা বাড়ি’র মিতুল, সে যেমন শান্ত একটি মেয়ে, ঠিক তেমনি রেগে গেলে সেও প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। নিজের পরিজনকে রক্ষা করার জন্য সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করতেও পিছপা হয়না সে।
এদিকে তিনজনই ঠাকুরভক্ত। বিপদে পড়লে তিনজনই তাদের প্রিয় ঠাকুরকে স্মরণ করেন। একদিকে যেমন প্রতিবাদী ঠিক তেমনি সংসারকে একা হাতে সামলানোর ক্ষমতাও তাদের মধ্যে আছে। আর তাই সৌভিক চক্রবর্তী-এর গল্পের নায়িকা গুলো একটু বেশি প্রিয় দর্শকদের। তাদের অভিনয় মুগ্ধ করেছে দর্শকদের। পাশাপাশি এও শিক্ষা দিয়েছে এই যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে কি গ্রহণ করতে হবে আর কি বর্জন!
এ নিয়ে একজন দর্শক সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “সৌভিক চক্রবর্তী এর গল্পের নায়িকাগুলো জোস,, ঊর্মির আতা মাজি সাটাকলি হয়ে গেলে হুঁশ থাকেনা,,, পর্ণার মাথার তার কেটে গেলে হুঁশ থাকেনা,,, মিতুলের মাথা গরম হয়ে গেলে হুঁশ থাকেনা,,, একেকটা পাগলী সব,,, আর তিনজনই ভীষণ ভালো অভিনেত্রী”।