জি বাংলার মিঠাই সিরিয়াল ধারাবাহিক প্রেমীদের একসঙ্গে অনেক কিছুর রসদ জুটিয়ে দিয়েছে। যেমন অনেক অনেক ভালোবাসার মিষ্টি মুহূর্তের উপহার দিয়েছে, তেমনই দর্শকদের কিন্তু বেশ ভালো মতো ধৈর্য্যের পরীক্ষা নিয়েছে। এক কথায় বহু সময় বাদে একটি ধারাবাহিক আবার মানুষের মনে এতটা জায়গা করে নিতে পারল।
একসময় বাংলার দর্শকরা একের পর এক ধারাবাহিক উপহার পেয়েছেন যেগুলো আজও তাঁদের ইমোশন হয়ে থেকে গিয়েছে। সেই ধারাবহিকগুলো শেষ হয়ে যাক এটা যেন তাঁরা চানইনি। বরং ধারাবাহিকগুলো শেষ হয়ে যাওয়ায় দর্শকরা বেশ কষ্ট পেয়েছেন।
কিন্তু বর্তমানে ধারাবাহিকগুলোর অন্য ট্রেন্ড দেখা দিয়েছে। টি আর পির জন্যই যেন সবকিছু। গল্পের দিকে বেশি জোর দেওয়ার বালাই নেই। সেই একই পরকীয়া, ত্রিকোণ প্রেম একই। একটু মায়া, ভালোবাসা এগুলো দিয়ে জড়িয়ে নিতে না পারলে টি আর পিও আসে না। আর টি আর পি না এলে এক বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সেই ধারাবহিকগুলি।
কিন্তু মিঠাই বহু বছর পর আবার আবেগে রূপান্তরিত হওয়া একটা ধারাবাহিক। সব ধারাবাহিকের মাঝে আলাদা হয়ে দেখালো এই ধারাবাহিকটি। ঠিক যখনই দর্শকরা ভাবলেন এবার বোধয় এই সিরিয়ালটা আর পাঁচটা সিরিয়ালের মতোই বিষিয়ে যাবে, তখনই সবকিছুকে ভুল প্রমাণ করে মিঠি – মিঠাই, শাক্য – মিষ্টি সব মিলিয়ে ভীষণ সুন্দর একের পর এক মিষ্টি পর্ব আসতে শুরু করল। আর এই শাক্য মিষ্টি এরাতো যেন দর্শকদের একদম সুন্দর করে মাতিয়ে রাখে।
মিলে মিশে থাকে মিষ্টি আর শাক্য। আর সেই দেখে দর্শকরা যেন ভালোবাসায়, আবেগে জড়িয়ে রেখেছেন। তবে সেসব কিছু চুকিয়ে এবার যেন দর্শকদের মনে শান্তি এল। ধীরে ধীরে মিঠাইয়ের স্মৃতি ফিরিয়ে আনা হল। মিষ্টি শাক্য ভাই বোনের ভালোবাসায় ভরে গিয়েছে। তৈরি হল একটি ভরা সংসার। মিষ্টি পেল বাবার ভালোবাসা, শাক্য পেল মায়ের ভালোবাসা। দুচোখ জুড়িয়ে গেল দর্শকদের।
আর ভালো সবকিছু যেন খুব তাড়াতাড়ি কেটে যায়। দু’বছর হয়ে গিয়েছে এই ধারাবাহিকের। দর্শকদের যেন মনেই হচ্ছে না এটা পুরোনো। বরং একদম নতুন নতুন একটা ধারাবাহিক যেভাবে টেনে ধরে রাখে। সেরকমই স্বাদ খুঁজে পাচ্ছে দর্শকরা। যারা নিয়মিত দেখেন তাঁদের তো মাত্র ৩০ মিনিটের এই এপিসোড যেন ভালই লাগছে না। মিঠাই শেষ হলে, অনেকটা মন খারাপ থেকেই যাবে মিঠাইপ্রেমীদের।