জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

Neem Fuler Modhu! একটা সুন্দর যৌথ পরিবার ভেঙে গেলো! ‘আমাকে ভাগের মা হতে হবে!’ ঠাম্মির কষ্ট যেন বর্তমান সমাজের কঠোর করুণ অবস্থাকেই ফুটিয়ে তুললো

বর্তমানে বাঙালির বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হল ধারাবাহিক। আর সেই ধারাবাহিকের ভিড়ে কিছু কিছু ধারাবাহিক দর্শকদের মনে বেশি করে জায়গা করে নেয়। বর্তমানে টেলিভিশনের পর্দায় চলা বিভিন্ন ধারাবাহিক দর্শকদের অত্যন্ত প্রিয় আর তার মধ্যেই অন্যতম হল ধারাবাহিক নিম ফুলের মধু(Neem Phooler Modhu)। পল্লবী শর্মা (Pallavi Sharma), ও রুবেল দাস(Rubel Das) অভিনীত এই ধারাবাহিক অতি অল্প সময়েই দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে।

দারুন অভিনয়ে শুরু থেকেই নজর কেড়েছেন পল্লবী শর্মা। সেইসঙ্গে পাল্লা দিয়ে তাঁর শাশুড়ির চরিত্রে নজরকাড়া অভিনয় করছেন অরিজিতা মুখোপাধ্যায়। কম মুখ ঝামটা সহ্য করতে হচ্ছে না তাঁকে। এই ধারাবাহিকে টানটান উত্তেজনা রয়েছে! নিত্যদিনই বিভিন্ন ধরনের ধামাকা হচ্ছে এই ধারাবাহিকে। এই গল্প আসলে দর্শকদের নজর কেড়েছে! আসলে এই গল্পটা এতটাই বাস্তবসম্মত যে অনেক মানুষ এই গল্পের সঙ্গে নিজেদের বাস্তব জীবনের মিল খুঁজে পেয়েছেন। মা এবং মেয়েরা এই গল্পের সঙ্গে দারুণ মিল খুঁজে পেয়েছেন। বিশেষ করে নজর কেড়েছে পর্ণা। বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যে পড়েও সে যেভাবে সেখান থেকে বুদ্ধি করে বেরিয়ে এসেছে তা দেখে মুগ্ধ দর্শক।

শুরু থেকেই পর্ণা বাড়ির বড় জা এবং শ্বাশুড়ি’র কাছে হেনস্থার শিকার হচ্ছিল! সেই সঙ্গে ছিল ভেড়া সৃজন! যে দত্ত বাড়িতে কেউ কখনও চাকরি করেনি সেটা করে দেখিয়েছে পর্ণা। দত্ত বাড়ির অচলায়তন’কে ভেঙে চলেছে সে। বর্তমানে এই ধারাবাহিককেও পরকীয়ায় এসে হাজির। আসলে সৃজনের বড় বৌদি মৌমিতার বোন তিন্নির সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল সৃজনের। কিন্তু পর্ণার সঙ্গে বিয়ে হয়ে যায় কৃষ্ণার বাবুউউর। আর তাই কৃষ্ণা এবং মৌমিতা মিলে তিন্নিকে সৃজনের কাছে ঠেলছে। যথারীতি সৃজনকে পেতে উঠে পড়ে লেগেছে তিন্নিও।‌‌ যদিও প্রতিবাদী পর্ণা কাপালিক সেজে সেই পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে।

এরপরেই সৃজন তিন্নিকে বাড়ি থেকে বের করে দিতে হয়। তাঁর সঙ্গে ঝামেলা বেঁধে যায় তাঁর বড়দার।‌‌ এই মোক্ষম সময় ঠাম্মির কাছে বাড়ি ভাগ করার প্রস্তাব দেয় দত্ত বাড়ির বড় ছেলে। অর্থাৎ সৃজন-পর্ণার জেঠু। ঐতিহ্যবাহী যৌথ দত্ত পরিবারকে ভেঙে টুকরো করার প্রস্তাবে যথারীতি ক্ষুন্ন হন ঠাম্মি। তাঁর অভিনয়ের মধ্যে দিয়ে ঝরে পড়েছে একটি যৌথ পরিবারকে আগলে রক্ষা করা এবং তারপর তা ভেঙে যাওয়ার কষ্ট। সব ছেলেদের কাছে ঘুরে ঘুরে থাকতে হবে তাঁকে এটা কোন‌ওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তিনি। তাঁর ভেতরকার কষ্ট বর্তমান সমাজে যৌথ পরিবার গুলির করুণ অবস্থাকেই ফুটিয়ে তুলেছে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ভক্ত লিখেছেন, “থাম্মি– কাউকে আমাদের দায়িত্ব নিতে হবে না,,আমি আর ছোট খোকা নিজের দায়িত্ব নিয়ে একটু ভাত ফুটিয়ে খেয়ে নিবো!
শেষে কি-না আমাকে ভাগের মা হতে হলো। আমাকে ভাগ করে নিতে চাচ্ছে।
থাম্মির এই কথাগুলো শুনে আজ খুবই কষ্ট লাগছিলো,,একটা যৌথ পরিবার ভেঙে গেলে বুড়ো বাবা-মা-ই বেশি কষ্ট পাই।
#neemfulermodhu বর্তমান ট্রাক খুব সুন্দর ভাবেই লেখক দেখাচ্ছে আর বাস্তবিক একটা ঘটনা দেখানো হচ্ছে,, দারুণ জমজমাট হচ্ছে।”

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।