জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

June Malia: রাজ পরিবারের মেয়ে! দুই সন্তানের মা ৪৯ বছরে করেছেন বিয়ে! জুন মালিয়ার এই কথা কেউ জানে না 

তিনি বাংলা ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সুদক্ষ অভিনেত্রী। টেলিভিশন হোক বা সিনেমা সবক্ষেত্রেই তিনি নিজের অসামান্য অভিনয় প্রতিভার বিচ্ছুরণ ঘটিয়েছেন। তিনি যদি কোন‌ও সিনেমা বা ধারাবাহিকে থাকেন তাহলে তা বিশেষ মর্যাদা পায়। দর্শকদের মধ্যে সেই কাজটি দেখার বিশেষ আগ্রহ জন্মায়। হ্যাঁ, কথা বলছি টলিউডের অন্যতম দাপুটে অভিনেত্রী জুন মালিয়ার কথা।

যে সে সাধারণ পরিবারের মেয়ে নন অভিনেত্রী জুন মালিয়া। জানা যায়, তিনি মহিষাদল রাজ পরিবারের সুকন্যা। বাবা নয় অভিনেত্রীর জীবনে মায়ের অবদান সব থেকে বেশি। মায়ের কঠোর শাসন এবং ভালোবাসায় মোড়া তাঁর জীবন। ৯০ এর দশকের ‘সিঙ্গেল মাদার’ শব্দটা যখন আজকের দিনের মতো এতটা প্রচলিত ছিল না সেই সময় দাঁড়িয়ে সিঙ্গেল মাদার হওয়ার সাহস দেখিয়েছিলেন তিনি।

খুবই অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যায় অভিনেত্রীর। শিবেন্দ্র এবং শিবাঙ্গী তাঁর দুই সন্তান। স্বামীর ভালবাসাহীন সম্পর্কের সঙ্গে আপোষ করেননি অভিনেত্রী। ছেড়ে বেরিয়ে আসেন সেই সম্পর্ক থেকে। খোরপোষটুকুও নেননি স্বামীর থেকে। যে সময় ব্যক্তিগত জীবনে জুনের ঝড় উঠেছে তখন তাঁর বাবা ক্যান্সারে আক্রান্ত। কি করবেন বুঝতে পারছিলেন না অভিনেত্রী। যদিও বাড়িতে সবটা খুলে বলেন। আর জীবন যুদ্ধের এই লড়াইয়ে নিজের বাবা মাকে পাশে পেয়ে যান অভিনেত্রী। তাঁরা দুহাত দিয়ে আগলে রাখেন জুন এবং তাঁর সন্তানদের।

মিষ্টি চেহারার এই অভিনেত্রী ছিলেন টলি পাড়ার এক ঝোড়ো হাওয়া। সেই সময় টলিউডে চলছিল নতুন মুখ নতুন অভিনেত্রীর সন্ধান। আর ঠিক সেই সময় টলিউডের পা রাখেন জুন। ঋতুপর্ণা, দেবশ্রী, শতাব্দী, ইন্দ্রানীদের একচেটিয়া আধিপত্যের মাঝে নিজের জায়গা শক্ত করতে শুরু করেন জুন মালিয়া। আভিজাত্যপূর্ণ চেহারা, শারীরিক আবেদন, জুন মালিয়ার কদর বেশ খানিকটাই বাড়িয়ে দেয়। আজ টলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম বড় নাম জুন মালিয়া।

আজ শিবেন্দ্র এবং শিবাঙ্গী দুজনেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। সাবালক তাঁরা। তাঁরা সাবালক হওয়ার আগে দ্বিতীয় বিয়ের চিন্তাভাবনা করেননি জুন। যদিও সুদীর্ঘ ১৪ বছর ধরে প্রেমিক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন তিনি। ২০১৯ সালের ১লা ডিসেম্বর ৪৯ বছর বয়সে সৌরভ চট্টোপাধ্যায়কে বিয়ে করেন সব ক্ষেত্রে ছকভাঙা জুন মালিয়া। তাঁর এই বিয়ে ঘিরে যথেষ্ট হইচই হয়েছিল মিডিয়ায়। আসলে কোন‌ও কিছুই কখন‌ও তাঁকে তাঁর সিদ্ধান্ত থেকে টলাতে পারেনি। অভিনয়ের পাশাপাশি তাঁর দৃপ্ত পদচারণা এখন রাজনীতিতে। মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে বিধানসভা ভোটে জিতে এখন বিধায়ক তিনি। ওই যে বললাম তিনি ছক ভাঙতে এসেছিলেন।

Rimi Datta

রিমি দত্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। কপি রাইটার হিসেবে সাংবাদিকতা পেশায় চার বছরের অভিজ্ঞতা।