অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায়। যার সাথে বাংলার অন্যান্য অভিনেতাদের একটি সূক্ষ্ম পার্থক্য রয়েছে। আবির যখন সিরিয়ালে অভিনয় করতেন তখনও তিনি ছিলেন বাংলার মেয়েদের ক্রাশ। পুরুষদের চোখেও আবির সেরা। বর্তমানে যখন একের পর এক সিনেমায় বিভিন্ন ধরনের চরিত্রে অভিনয় করছেন তখনও বিন্দুমাত্র টাল খায়নি তার জনপ্রিয়তা।
সিনেমা হিট হোক বা ফ্লপ, আবির চট্টোপাধ্যায়ের স্থান দশকদের মনে চিরকালের জন্য পাকাপাকিভাবে থেকে যাবে। গ্ল্যামার দুনিয়ায় যেখানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মনে করা হয় নায়ক বা নায়িকারা বিবাহিত হয়ে গেলে তাদের প্রতি আর বিশেষ আকর্ষণ থাকে না মানুষের সেখানে আবির বরাবর নিজের বিবাহিত জীবন প্রকাশ্যে রেখেছেন। যদিও বিবাহিত জীবন নিয়ে খুব একটা ব্যক্তিগত কথা বলেন না তবে এমনটা নয় যে বিয়ে তিনি করেছেন সেটা সকলের কাছে লুকিয়ে রেখেছেন বা নিজের স্ত্রীকে কখনো কারোর সামনে আনেননি।
আবিরের স্ত্রীর নাম নন্দিনী চট্টোপাধ্যায়। তাদের আছে একটি মেয়ে। অভিনয়ের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই আবিরের স্ত্রীর। তবে বিভিন্ন প্রিমিয়ার পার্টিতে বা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আবির নিজের স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে যেতে ভোলেন না। তবে তার স্ত্রী সম্পর্কে অনেকেই অনেক তথ্য জানে না।
আবিরের স্ত্রী নন্দিনী যথেষ্ট ব্যক্তিত্বময় মহিলা কিন্তু বারবার বিভিন্ন ধরনের কটাক্ষ এবং সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। গ্ল্যামার দুনিয়ার রংচঙ্গে বা রঙিন জাদু তাকে ছুতে পারেনি। তিনি হালকা সাজ এবং হালকা পোশাক পছন্দ করেন। বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও তিনি যেমন ঠিক তেমনভাবেই থাকেন। ফলে বহু মানুষ তাকে মাঝে মাঝে বিভিন্ন কারণে কটাক্ষ করে থাকে। এমনকি অনেকেই বারবার বলে থাকে তিনি মোটা, কালো, বেঁটে এবং আবির চট্টোপাধ্যায়ের মত অভিনেতার স্ত্রী হবার বিন্দুমাত্র যোগ্যতা রাখেন না। দুজনকে একে অপরের পাশে একেবারে বেমানান লাগে এমনও বলে অনেকেই।
তবে নন্দিনী যথেষ্ট বুদ্ধিদীপ্ত। তিনি কোনোরকম বিতর্কে থাকেন না। আবির নিজেও কোন রকমের নেগেটিভ খবর বা বিতর্কে থাকতে ভালোবাসেন না। সাত পাকে বাঁধা পড়ার পর ১৬ বছর একসঙ্গে কাটিয়ে ফেলেছেন দুজনে।