রানু মণ্ডল। একটা সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চরম চর্চায় ছিল এই নাম। রানাঘাটের স্টেশনে বসে লতার গান গেয়ে ভাইরাল হয়েছিলেন এক মহিলা। সেই প্রতিভার দাম দিয়েছিল নেট দুনিয়া। ভাইরাল হতে বেশি সময় নেয়নি তার কন্ঠ। এক ভিখারিনীর এই প্রতিভাকে সম্মান না দিলে যে চরম পাপ হবে সেটা বুঝেছিল মানুষ।
এরপর সেই কণ্ঠস্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় আবদ্ধ থাকেনি, খুব তাড়াতাড়ি বলিউডে সুযোগ পেয়েছিলেন রানু। হিমেশ রেশমিয়া নিজে সেই সুযোগ করে দেন। সেই গান হয় ব্যাপক হিট। বাকিটা ইতিহাস।
কিন্তু কালের স্রোতে সেই নাম পাল্টে গেলো। ইতিহাস থেকে সরে গেল তার জায়গা। রানু মণ্ডল অল্প সময়ের সুখ্যাতি পাওয়ার পর আমূল পাল্টে গেলেন। তখন ভোল পাল্টে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে গেলো তার ব্যবহার। নানা জায়গায় ভাইরাল হতে থাকলো তার দুর্ব্যবহারের নানা ভিডিও। পিপীলিকার পাখা ওড়ে মরিবার তরে এমন কথাই ছড়িয়ে গেলো তার প্রতি।
এরপর সেই প্রতিভা আর কোথাও পেলো না সম্মান। আবার আগের জরাজীর্ণ দশায় ফিরে গেলেন রানু। যদিও এখন ইউটিউবারদের জন্য আকছার ভাইরাল হয়ে যান রানু। হয় বিতর্কিত মন্তব্য আর না হলে অদ্ভুত কীর্তির জন্য চলতে থাকে নিন্দা।
কিন্তু এবার সব সীমা কি ছাড়িয়ে গেলেন তিনি? এক ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেলো হাঁটুর বয়সী ছেলে তার শ’রীরে হাত দিয়ে ভিডিও করছে। সঙ্গে চলছে গান “দু চোখে প্রেমেরই নে’শা”। গালে গাল ঠেকিয়ে, হাত ধরে নানা অঙ্গভঙ্গি করছে সে। কিন্তু রানু নির্বিকার। বরং তাকে দেখে মনে হচ্ছে তার কষ্ট হচ্ছে। পায়ে হাত দিয়ে বোঝালেন ব্যথা করছে। তবে কেন এমন কীর্তি? চারিদিকে শুরু ছিছিকার। কেউ কেউ ইতিমধ্যেই বলছে ভাইরাল হতে মানুষ কী না করে।