ভারতীয় সঙ্গীত জগতের সবচেয়ে বড় নক্ষত্রএর নাম ছিল কিশোর কুমার (Kishore Kumar)। আজও তাঁর কথা উঠলে মাথা নতমস্তক হয় সবার। তিনি ছিলেন সুরের সম্রাট (King of Music)। আসলে বলা ভালো আস্ত একটি ঘরানার নাম তিনি। সমস্ত গান প্রেমী সুর প্রেমী মানুষদের কাছে তিনি ভগবান। আসলে তাঁর গানে যে প্রেম আছে তা বোধহয় সমকালীন আর কারর গলাতেই পায়নি দেশবাসী। ভারতবর্ষ জুড়ে গায়কের অভাব হয়ত নেই। কিন্তু কিশোর কুমার ওই একটাই।
অত্যন্ত খামখেয়ালি ছটফটে এবং অস্থির স্বভাবের মানুষ ছিলেন তিনি। আসলে ধীরস্থির এই শব্দগুলো তাঁর জন্য ছিলনা। ব্যক্তি জীবনে অত্যন্ত প্রেমিক পুরুষ ছিলেন কিশোর কুমার। আর তাই তো বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নারীর সঙ্গে নাম জড়িয়েছে তাঁর। একাধিকবার জড়িয়ে পড়েছেন বৈবাহিক বন্ধনে। চতুর্থ বিয়ে তিনি করেছিলেন ২০ বছরেরও ছোট লীনা চন্দ্রভরকরকে।
একটি সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার পুত্র অমিত কুমার বাবার চতুর্থ বিয়ে বিষয়ে জানিয়েছিলেন, অভিনেত্রী লীনা চন্দভরকরের সঙ্গেই শেষপর্যন্ত খুশি হতে পেরেছিলেন বাবা। ‘মমতা কি ছাও মে’ ছবিতে লীনা দেবীকে অভিনয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন কিশোর কুমার। তাঁর আগে অবশ্য স্বামী মারা গিয়েছিল লীনা দেবীর। এরপর অভিনেত্রী মুম্বই চলে আসেন। কাজ শুরু করেন। আর মানসিক অবসাদ কাটাতেই কিশোর কুমারের সঙ্গে কাজ শুরু করতে রাজি হন তিনি।
জানা যায়, প্রথম সাক্ষাতেই নাকি অভিনেত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন কিশোর কুমার। কিন্তু গায়কের মুখের উপর ‘না’ বলে দেন লীনা দেবী। মাত্র ২৫ বছরে বৈধব্য যোগ এসেছিল অভিনেত্রীর। আর সেই সময়ই অভিনেত্রীর হাত ধরতে যান কিশোর। উল্লেখ্য, কিশোর কুমার অবশ্য ইতিমধ্যেই তিন বার বিবাহিত। কোনও সম্পর্কই টেকে না তাঁর। তিনি নাকি শান্তি খুঁজে পান না।
তবে নিজের বাবার সঙ্গে অশান্তি হওয়ায় ২০ বছরের বড় কিশোরের হাত ধরতে রাজি হয়ে যান অভিনেত্রী। প্রথমে অভিনেত্রীর পরিবার থেকে এই বিয়ে মেনে না নিলেও পরে অবশ্য মেয়ে জামাইকে মেনে নিয়েছিলেন লীনা চন্দ্রভারকারের বাবা। অবশ্য সেই ক্ষেত্রেও বাবা- মেয়ের মধ্যেকার সম্পর্ক ঠিক করার দায়িত্ব নিয়েছিলেন কিশোরই। পরবর্তীতে কিশোর-লীনার সন্তান সুমিত কুমারের জন্ম। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত লীনার সঙ্গেই ছিলেন কিশোর কুমার। বর্তমানে একেবারে নিজের মা-ভাইয়ের মতো করেই সৎ মা লীনা চন্দ্রভারকার ও ভাই সুমিত কুমারকে আগলে রাখেন কিশোর সুপুত্র অমিত কুমার।