কখনও সে বেল্ট কাকিমা আবার কখনও সে লেডি রঞ্জিত মল্লিক। বাংলা টেলিভিশনের এই চরিত্র এভারগ্রীন হয়ে থাকবে তর নিজের গুণে। হ্যাঁ, সে খেলনা বাড়ি সিরিয়ালের মিতুল ছাড়া আর কে হতে পারে?
যদিও এখন সেই মিতুল আর ইন্দ্রের গল্প অনেক বছর এগিয়ে গেছে। আর তাদের সন্তানরা বড় হয়ে গেছে। আদর, গুগলি হিসেবে এসেছে নতুন প্রজন্ম। আদর মিতুলের হারিয়ে যাওয়া ছেলে আর গুগলি তার সৎ মেয়ে যাকে সে প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসে। মাত্র ১৯ বছর বয়সে একজন স্ত্রী, একজন কঠোর মায়ের ভূমিকা পালন করছে আরাত্রিকা মাইতি। এত কম বয়সে এমন চরিত্র পাওয়া সহজ কথা নয়।
পর্দার মিতুলের যেমন লড়াই আছে, তেমনই মিতুল ওরফে আরাত্রিকা মাইতির জীবনেও সংগ্রাম কম নেই। ঝাড়গ্রামের মেয়ে আরাত্রিকা মাইতি নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে থেকে আজ নায়িকা হয়ে উঠেছে জি বাংলার মতো প্রধান চ্যানেলের। স্কুলের গণ্ডি পেরোয়নি সে। ‘রানি রাসমণি’ সিরিয়ালে পায় প্রথম সুযোগ। এই সিরিয়ালের পরই করোনা পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়। সংসার চালানো পর্যন্ত দুর্বিষহ হয়ে ওঠে নায়িকার।
অডিশন চলছিল খেলনা বাড়ি ধারাবাহিকের। ঝাড়গ্রাম থেকে আসার জন্য ট্রেন পর্যন্ত চলছিল না। মাকে বাবা একটা আংটি দিয়েছিলেন বিয়ের সময়। অডিশন দেওয়ার জন্য কলকাতা আসতে গেলে টাকার প্রয়োজন ছিল। তাই সেটাই বিক্রি করতে হয়। স্বপ্নপূরণের জন্য মা-বাবা সেই ঝুঁকি নিয়েছিলেন বলেই আজ সে লক্ষ্যভেদ করতে পেরেছে।
জি বাংলা তাকে সম্মান থেকে শুরু করে পরিচয় সবকিছু এনে দিয়েছে। আর বদলে তার সিরিয়াল দিচ্ছে বিনোদন, টিআরপি। আর কী চাই!