আমরা সকলেই আদৃত-কৌশাম্বীর সম্পর্ক সম্বন্ধে অবগত। কৌশাম্বীর সঙ্গে যে তাঁর প্রেম চলছে সে কথাও কারোর অজানা নেই। টেলিপাড়ার তাদের প্রেমের ব্যাপারটা ‘ওপেন সিক্রেট’। দিদিয়ার সঙ্গে উচ্ছেবাবুর অফস্ক্রিন বন্ডিং নজরে কাড়ে সব ভক্তদেরই। যদিও আদৃত কৌশাম্বী চক্রবর্তীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের কথা কিছু প্রকাশ্যে আনেননি। তবে সেকথা কারোর অজানা নয়। ১লা মে শ্রম দিবসে তালাবন্ধ স্টুডিওপাড়া, আর তাই সেই দিনটা নিজের মতন করে কাটালেন আদৃত। সোশ্যাল মিডিয়ায় তেমন সক্রিয় নন তিনি। তবে মাঝেমধ্যেই ফেসবুকে ছবি পোস্ট করেন আদৃত। এদিনও শহরের কোনও রেস্তোরাঁ থেকে ছবি পোস্ট করলেন উচ্ছেবাবু।
তার পরনে ছিল বেগুনি টি-শার্ট, অলিভ রঙা প্যান্ট এবং স্নিকার্স। ছবির ক্যাপশনে আদৃত রবি ঠাকুরের কথা ধার করে লিখেছেন, ‘মেঘের কোলে রোদ হেসেছে বাদল গেছে টুটি! আজ আমাদের ছুটি ও ভাই আজ আমাদের ছুটি!’ মিঠাই’ ভক্তরা আদৃত-কৌশাম্বীর সম্পর্ক নিয়ে খুশি হলেও কিছুজন আবার বেজায় বিরক্ত। অনেকেই ভালোবেসে এই জুটিকে ‘কৌদৃত’ নামও দিয়েছে ভক্তরা। কিছু নেটিজেন আবার কৌশাম্বীর প্রোফাইলে গিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন। কেউ তাঁকে ‘বুড়ি’ আবার কেউ ‘ঘরভাঙানি’ তকমা দেন। বিরক্ত হয়ে কৌশাম্বী অনেক সময়ই নিজের ইনস্টা পোস্ট থেকে সেইসব নেগেটিভ মন্তব্য ডিলিট করে দেন।
দর্শকদের বক্তব্য, একদিকে ধারাবাহিকের নায়িকার সঙ্গে আদৃতের বাজে সম্পর্ক, এদিকে কৌশাম্বীর সঙ্গে চলছে প্রেমের সম্পর্ক। তাই এই সম্পর্ককে ঠিক ভালো চোখে দেখেন না দর্শকরা। ১লা মে-এর শেয়ার করা আদৃতার ছবিতে যতটা না আদৃতকে দেখেছে দর্শকরা, তার থেকে অনেক বেশি দেখেছে তার ডান পাশে পড়ে থাকা চশমাটিকে। কালো ফ্রেমের সেই চশমাটি অনেকেরই চেনা ঠেকেছে। আদৃত ভক্তদের অনেকের দাবি, ওই চশমা কৌশাম্বীর। কৌশম্বীকে সেই চশমার সঙ্গে বহুবার দেখা গিয়েছে। আসলে ফ্যানেদের ঈগলের চোখ এড়ানো খুবই শক্ত, আর তাই আদৃতের এদিনের ছবি কৌশাম্বিই তুলে দিয়েছেন একপ্রকার নিশ্চিত নেটিজেনরা। আর তারপরই অনুমানটা নিশ্চিত হয়ে গেল।
কৌশাম্বীও একই লোকেশন থেকে দুটি ছবি পোস্ট করেন। সুতরাং ছুটির দিনে দুজনেই একান্তে সময় কাটালেন, তা নিশ্চিত ভক্তরা। উক্ত আদৃতের ছবিতে দর্শকদের কমেন্টের পাহাড় ভেঙে পড়ে। এক নেটিজেন অভিনেতাকে ঠেস দিয়ে কিছু বাজে কম্যান্ট করেন, শুধু তাই নয় তার বাংলা লেখা নিয়েও মন্তব্য করা হয়। আদৃতকে “ডাউন টু আর্থ ইগোলেস অ্যাক্টর” বলে সেই নেটিজেন। আর তারপরই রেগে ফেটে পড়লেন আদৃত। কমেন্টটি তিনি ডিলিট করে দেন।
আর তা দেখেই সেই নেটিজেন আবার কমেন্ট করেন। তার কোথায়, বহু তারকা এরূপ ট্রোলের শিকার হয়। তা বলে কমেন্ট ডিলিট করেন না। এর আগে মিঠাইও এই একই জিনিস করেছিলেন। তবে আদৃত তার পরের কমেন্টেরও যোগ্য জবাব দেন। তিনি বলেন, একজন বাঙালি আর্টিস্ট হাজার হাজার ডায়লগ মুখস্ত করে সেটাকে মনে রেখে অনস্ক্রিন খুব অল্প সময়ের মধ্যে বলে তাই তাদের মধ্যে বাঙালিয়ানা কতটা আছে সেটা প্রমাণ করার প্রয়োজন মনে করেন না অভিনেতা।