আড়াই বছর আগে শুরু হয়েছিল ‘মিঠাই’ টিমের যাত্রা। অবশেষে শেষের দিনটা চলেই এল। ৩১ মে হবে শেষ হল শুটিং। স্বাভাবিক ভাবেই মন খারাপ সকলের। তবে নতুনকে স্বাগত জানানোর জন্য পুরোনোকে বিদায় জানাতেই হয়। আর তাই হাসিমুখেই বিদায় জানাচ্ছেন মিঠাই টিমের সকল সদস্য। শুধুই মিঠাই বা সিদ্ধার্থ নয় শ্রীনন্দা, শ্রীতমা থেকে তিস্তা- প্রতিটা চরিত্র পেয়েছে সমান জনপ্রিয়তা।
ফলে প্রত্যেককেই খুব মিস করবে দর্শক। ‘মিঠাই’ সিরিয়ালের বিখ্যাত বাড়ি ‘মনোহরা’ সেট ভাঙার ছবি প্রকাশ্যে আসতে মন খারাপ হয়েছিল তাঁদের ভক্তদের। ‘মিঠাই’ শুরু প্রথম থেকেই সিদ্ধার্থ ওরফে আদৃতকে নিয়েও চর্চা কম হয়নি। বিশেষত তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। প্রথমে অনেকে মনে করেছিলেন মিঠাই-এর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক রয়েছে, পরে আবার সিডের সঙ্গে পর্দায় তাঁর দিদিয়া ওরফে কৌশাম্বী চক্রবর্তীর সম্পর্ককে ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা আলোচনা।
যদিও সেই সম্পর্ক নিয়ে এখনও কেউই মুখ খোলেননি। দুজনেই জানান, তাঁরা খুব ভালো বন্ধু। শেষদিনে মিঠাই টিমের মেম্বারদের দেখার জন্য উপচে পড়েছিল ভক্তদের ভিড়। প্রায় ৩ বছর ‘মিঠাই’এর বয়স। জানা গিয়েছে, টিভিতে লাস্ট সম্প্রচার হবে ৪ই জুন। ২০২১ এর জানুয়ারি মাসে শুরু হয় এই ‘মিঠাই’। শেষের পথে এগোলেও টেলিভিশনের পর্দায় শেষদিন পর্যন্ত রমরমিয়ে চলবে এই সিরিয়াল। যদিও অনেকে মনে করেন, ধারাবাহিকের সিড ও মিঠাই-এর সম্পর্ক যতটা ভালো বাস্তবে তা নয়।
আবার এই খারাপ সম্পর্কের কারণ হিসাবে কৌশাম্বীকেই দোষী করেন। যদিও এরমধ্যে কতটা বাস্তবতা রয়েছে, তা নিয়ে আছে সন্দেহ। তবে একদিকে যেমন মিঠাই-সিডের সুন্দর মুহূর্তগুলো দর্শকদের মনের মধ্যে বাসা করে রয়েছে, ঠিক সেরকম সিড ও কৌশাম্বীর মুহূর্তগুলো শেয়ার হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কারণ দর্শকদের মতে, এই ধারাবাহিকের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছিল তাদের সম্পর্ক, আর এটাই ছিল তাদের প্রথম একসাথে করা ধারাবাহিক।
এরপর তাঁদের একসাথে কবে দেখা মিলবে তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। অনেকেই ভাবেন, যদি আদৃত ও কৌশাম্বী জুটি বাঁধে, তাহলে সেই জুটি হবে বিশাল চর্চিত। উল্লেখ্য, ‘মিঠাই’এর শেষ কিরকম হবে, তা নিয়ে রয়েছে অনেক প্রশ্ন। অনেকে চেয়েছিলেন, একটা বড় লিপ নিতে পারতো ‘মিঠাই’। যেখানে মিষ্টি ও শাক্য বড় হয়ে যেত। একটা সুন্দর এন্ডিং দেওয়া যেত। যাই হোক, এটা বলাই যায় ভক্তদের মনে সমান জায়গা করে নিয়েছে মিঠাই ও শ্রীনন্দা। তাঁদের দুজনেরই চরিত্র খুব পছন্দের। এখানেও যেন সৌমীতৃষা ও কৌশাম্বীর কম্পিটিশনটা থেকেই গেল।