এই মুহূর্তে বাংলা সিনে জগতে অন্যতম জনপ্রিয় এবং ফিটনেস ফ্রিক অভিনেতা হলেন টোটা রায়চৌধুরী। চল্লিশ পেরোলেও আজও তাঁর চেহারা, তাঁর ফিটনেস প্রশংসার দাবি রাখে। উল্লেখ্য, সিনেমা হোক বা সিরিয়াল সব ক্ষেত্রেই তাঁর অভিনয় প্রশংসার দাবি রাখে। তাঁর ফ্যান ফলোয়িংও কিন্তু বিরাট।
লীনা গাঙ্গুলীর লেখনীতে স্টার জলসার একটা সময়ের জনপ্রিয় ধারাবাহিক শ্রীময়ীতে রোহিত সেনের চরিত্রে অভিনয় করে ছোটপর্দায় রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছিলেন অভিনেতা। এমনকী সৃজিত মুখার্জীর ‘ফেলুদা’ হয়েও দারুন প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। আসলে যে কোনও চরিত্রেই তিনি দারুণ অভিনয় করেন। ওয়েব সিরিজ, সিনেমাতেও তিনি সফলভাবে অভিনয় করে চলেছন। অভিনেতার নিজের জীবনের থেকে কোনও চাহিদা নেই। যিনি প্রত্যেকটা মুহূর্ত হাসিখুশি ভাবে কাটিয়ে দিতে চান। তিনি বলেন, ইন্ডাস্ট্রিতে এসে তিনি প্রচুর পরিশ্রম করেছেন। আর তারপরই এসিওলা গাড়িতে চেপেছেন, বাড়িতে এসি লাগিয়েছেন। অর্থাৎ সুখের জিনিস কিনেছেন তিনি।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, আমি জীবনে কিছু করার আগে লোভ করিনি। আমি এটা চাই ওটা চাই করিনি। আর সেই কারণেই আমি কারর কাছে নিজের মাথা, মেরুদন্ড বিক্রি করিনি! আমি আমার মনের কথা শুনি। আর সেই কারণেই আমি কোনও দলে নেই।
ফেলুদা হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেলেও কেন সন্দীপ রায়ের ফেলুদা হতে পারলেন না তিনি? এই প্রশ্নের জবাবে অভিনেতার স্পষ্ট জবাব প্রত্যেক পরিচালকের আলাদা আলাদা ভিশন থাকে। আর বাবুদার সেই ভিশনে আমি নেই। যদিও সত্যজিত পুত্রের সঙ্গে তাঁর ভালো সম্পর্ক বলে জানিয়েছেন তিনি। আর এই কারণে তাঁর কোনও আক্ষেপ নেই।
অবশ্য টোটার ভক্ত-অনুরাগীরদের মতে যোগ্যতা অনুযায়ী টলিউডে নাকি দাম পাননি টোটা রায়চৌধুরী। কিন্তু অভিনেতার ভাবনাচিন্তা আলাদা। তিনি মনে করেন সবকিছুর জন্যই ভাগ্যের প্রয়োজন হয়। তিনি মনে করেন যাঁর যতটুকু প্রাপ্য সে ততটুকুই পাবে। অভিনেতা জানিয়েছেন যখন তাঁর বয়স কম ছিল তখন এই সমস্ত বিষয়গুলি নিয়ে খুব ভাবতেন। কিন্তু নিজের জীবনের দর্শন বদলে ফেলায় আর তাই তাঁর জীবনে কোনও কিছু নিয়েই আক্ষেপ নেই।
এতদিন ইন্ডাস্ট্রিতে থাকলেও কিন্তু কাজ হিসেবে খুবই কম কাজ করেছেন তিনি। ভীষণ বেছে বেছে ছবিতে কাজ করেন অভিনেতা টোটা রায়চৌধুরী। তাঁর কথায় তিনি অনেকদূর যেতে চান, আর তাই নিজেকে সহজলভ্য করতে চাননা তিনি। তাঁর কথায়, বছরে সাতটা স্ক্রিপ্ট পড়লে একটি ছবি বেছে নেন তিনি। এই বিষয়ে অভিনেতার বক্তব্য, স্ক্রিপ্ট, পরিচালকের ব্যবহার, এবং কাজের প্রতি তাঁর নিষ্ঠা, স্বচ্ছতা ভীষণভাবে প্রয়োজন হয়। তিনি জানিয়েছেন, পরিচালক যদি স্পষ্টবাদী হয় তাহলে কাজ করতে এবং কাজ বুঝে নিতে অনেক বেশি সুবিধা হয়। আর সেই কারণেই এত কম কাজ করেন তিনি।