জয়েন গ্রুপ

বাংলা সিরিয়াল

এই মুহূর্তে

‘বড় অহংকার হয়েছে?’, কেঁদে ফেললেন নন্দিনীদি! সাক্ষাৎকারের প্রশ্নবাণে বিদ্ধ ভাইরাল স্মার্ট দিদি

বর্তমানে নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হন অনেকেই, যার মধ্যে একজন হলেন নন্দিনী দি। ভাইরাল হওয়া মানেই ট্রোলের শিকার হওয়া। আর ঠিক সেরকমই প্রায় সময় নিন্দিনী দিকেও ট্রোল হতে দেখেছি আমরা। তাঁর আসল নাম মমতা গঙ্গোপাধ্যায় হলেও সোশ্যাল মিডিয়া তথা ডালহৌসি চত্বরে তিনি ‘নন্দিনী দি’ বলেই পরিচিত। ডালহৌসি চত্বরে যাবেন আর তাঁর হাতের খাবার খাবেন না এরকম কম মানুষই আছেন। তাঁর হাতের আমিষ থালি নাকি সকলের খুব প্রিয়।

নন্দিনী দির ভিডিও ভাইরাল

সম্প্রতি তাঁর আরও এক ভিডিও ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে ফিয়েছিল নেটদুনিয়ায়। অফিস পাড়ায় বাবা-মায়ের সঙ্গে একটি পাইস হোটেল চালান তিনি। দোকানটি যদিও তাঁর বাবার খোলা, তবে পড়ে তিনি বাবার হাতে হাত মিলিয়ে দোকানের প্রচার চালিয়েছেন। খুব বেশি বছরের নয়, বিগত দু’বছরের মধ্যেই তাঁর দোকানের বেশ প্রচার বেড়েছে। সম্প্রতি তিনি বেশ ভাইরাল। আর সেই ভাইরালের জেরে আগে যেখানে দিনে ২০-৩০ জন লোক লোক হত, এখন সেখানে প্রায় ১০০-র কাছাকাছি গ্রাহক আসে তার দোকানে।

নানান সমালোচনার মুখে নন্দিনী দিআর সকল গ্রাহকই যে ভালো হবে তা নয়, বাজে-ভালো মিশিয়ে সকলের সাথেই চলতে হয় তাঁকে।ভাইরাল হওয়ার পর তার উপার্জন যেমন বেড়েছে তেমনই বেড়েছে তাঁকে নিয়ে সমালোচনাও। তাই প্রশংসা যেমন আছে তেমন আছে নিন্দাও। কখনও মা-বাবার উপর রেগে যেতে, আবার কখনও কাস্টমারের উপর খেপে উঠতে দেখি নন্দিনী দিকে। তাঁর যেকোনও মুহূর্ত ভাইরাল হয়। কেউ তাঁকে ভালোর চোখে দেখেন, আবার কেউ খারাপ চোখে। কারোর বক্তব্য, তিনি ভাইরাল হতেই তাঁর অহংকার বেড়েছে, তিনি নাটক করেন।

নেটিজেনদের উদ্দেশ্যে মুখ খুললেন নন্দিনী

যদিও সমস্ত ঘটনা যেরকম ভাবে তুলে ধরা হয়, সেটা ঠিক সেরকম হয় না। তার পিছনে রয়েছে বিরাট কারণ। সম্প্রতি এক ইউটিউবার পৌঁছেছিলেন নন্দিনী দিদির দোকানে। তিনি এবার নেটিজেনদের রাখা বক্তব্য ও প্রশ্নকে নন্দিনীর সামনে তুলে ধরেন। ‘তিনি খুবই অহংকারী’, নেটিজেনদের এই প্রসঙ্গে নন্দিনী কি বলছেন? তিনি করুন মুখে জানান, তাঁকে যেভাবে মানুষ দেখবেন, তাঁদের তিনি সেরকমই। আলাদা করে তাঁর কিছু বলার নেই। তবে তাঁকে কেন অহংকারী বলা হয়, তা তিনি নিজেও জানেন না।

নন্দিনী দি জানান, সেলিব্রেটিরা যেরূপ লাইফ লিড করেন, তিনি তার এক পার্সেন্টও করেন না। সকাল থেকেই শুরু হয় তাঁর যুদ্ধ। যদিও আগের থেকে তাঁর দোকানে ভিড় জমে ১০ গুন্ বেশি। তাঁর এই সফলতার জন্যই আজ তিনি তাঁর মাকে গভর্মেন্ট হাসপাতাল থেকে প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারেন। তবে বিয়ের ব্যাপারে এখনও তিনি নিশ্চিত নন। কারণ এখন তাঁর কাঁধে রয়েছে তাঁর পরিবারের দায়িত্ব। তবে সেই দায়িত্ব সামলে তিনি গুব শীঘ্রই গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছেন তাঁর নিজের প্রিয় মানুষের সঙ্গে।

Titli Bhattacharya